পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে নিজ এলাকায় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেছিলেন নুরু মিয়া। তার উৎপাতে সবাই অতিষ্ঠ থাকলেও পুলিশের সোর্স এই ভয়ে কেউ কিছু বলতে সাহস পেতেন না। কিন্তু গণমাধ্যমে খবর আসার পরই শুরু হয় অভিযান। অবশেষে সোর্স খ্যাত নুরু মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ভাওড়া ইউনিয়নের পাইখার গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মির্জাপুর থানার ওসি শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার সকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানান, নুরু মিয়া পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতে করতে এলাকায় মাদক ব্যবসাসহ চাঁদাবাজি শুরু করেন। পরে পাইখার ভাওড়া গ্রামের কয়েকজনকে নিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনীও তৈরি করেন। বাহিনীর সদস্যরা প্রতিদিন অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে এলাকায় মহড়া দেন। তাদের অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রামের লোকজন টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনের সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
এরপর সংবাদপত্রে শিরোনামে আসেন নুরু মিয়া। তাছাড়া গত ৬-৭ মাস আগে একই ইউনিয়নের চানপুর গ্রামে জুয়া খেলার সময় চার ব্যক্তিকে পুলিশের ভয় দেখিয়ে ৪৮ হাজার টাকাও আদায় করেন তিনি। এ অভিযোগে মির্জাপুর থানার তৎকালীন এএসআই রেজাউল ও মনির বরখান্ত হলেও নুরু মিয়ার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কিছুদিন লুকিয়ে থাকলেও আবার থানায় যাতায়াত করছিলেন তিনি।