গতকাল বুধবার (১৪ জুন) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাইন্স ক্লাব কর্তৃক নিয়মিত মাসিক আয়োজন পাঠ চক্র অনুষ্ঠিত হয় । পাঠচক্রের মুল বিষয় ছিল ” মেডিসিনের অপব্যবহার এবং এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স”
পাঠচক্রে প্রধান অতিথি এবং কিনোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর শ্রদ্ধেয় এনামুল হক স্যার। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাবের সভাপতি শাকিল আহমেদ এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাবের বর্তমান সভাপতি আমান উল্লাহ ও কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যবৃন্দ।
আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর এনামুল হক স্যার অ্যান্টিবায়োটিক কি? অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স কিভাবে হয় যেমন সম্পন্ন অবৈধ ভাবে বিনা প্রেসক্রিপসনে ঔষধ প্রদান ও তা সেবন।
এছাড়াও তিনি বলেন এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স প্রবণতা কে থামাতে গেলে গঠন মূলক ও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে যেমন-
• কঠোর আইনের মাধ্যমে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ দেওয়া কে বন্ধ করতে হবে।
• সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
• চিকিৎসা ক্ষেত্রে সঠিক নিয়মানুবর্তিতা পালন হচ্ছে কিনা তা গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ চালাতে।
• মাঝপথে ওষুধ খাওয়া ছেড়ে দিয়ে নিজে ডাক্তারি না ফলিয়ে, বরং প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত ডাক্তারের পরার্মশ অনুযায়ী কোর্স কমপ্লিট না হওয়া অবদি ওষুধ খেয়ে যেতে হবে।
• কৃষিক্ষেত্র এবং গৃহপালিত পশুপাখির উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে অনাবশ্যক এন্টিবায়োটিক প্রয়োগের কঠোর নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
• ওষুধের ব্যবহার হয়ে গেলে যত্রতত্র তার খাপ বা মোড়ক ফেলে দেওয়ার থেকে নিজেদের বিরত রাখা।
এছাড়াও আমাদের সবাইকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে।
সাইন্স ক্লাবের এক্সিকিউটিভ মেম্বার ফার্মেসী বিভাগের ১৪ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত হিমু বলেন আমি লাইফ সাইন্সের ছাত্র তাই এ বিষয়টা কতটা ভয়াবহ তা সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা আছে কিন্তু অনেকজন আছে যারা এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স সম্পর্কে কোনো ধারণা রাখে না। তাই আমরা আরো বড় পরিসরে মেডিসিনের অপব্যবহার এবং এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স সম্পর্কে সেমিনার আয়োজন করতে চাই।