ইচ্ছে শক্তি যে মানুষকে কতটা পরিবর্তন করতে পারে তাই করে দেখিয়েছে গ্রামে বেড়ে উঠা এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া শান্ত। সময়টা ছিল ২০১৬ সাল, মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান তিনি, মাদ্রাসায় পড়ালেখা অবস্থায় বাংলাদেশের কয়েকটা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে আয় করা যায় এবং অনেকেই ইউটিউব থেকে মাস শেষে ভালো আয় করে।
সেই থেকে তিনি মনে মনে ভাবেন ইউটিউব থেকে তিনিও একদিন ইনকাম করে সফল হবেন। কিন্তু এই বিষয়ে তার কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না বা ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করার জন্য ছিলো না তার কোন উপযোগী ডিভাইস। কিন্তু তার ছিল অদম্য ইচ্ছা শক্তি আর একজন বড় ইউটিউবার হওয়ার স্বপ্ন, তাই হাতে থাকা স্মার্ট ফোন দিয়েই শুরু করেন তার ইউটিউবিং যাত্রা। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো এই বিষয়ে তার ছিল না কোনো প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান শুধুমাত্র ইউটিউবের সাহায্য নিয়েই তিনি সবকিছু শিখেছিলেন আর এখন বর্তমানে তিনি একজন সফল ইউটিউবার এবং ফ্রিল্যান্সার।
শান্ত খান একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। শারীরিক প্রতিবন্ধীকতা তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। তার অবিচল চেষ্টা এবং অদম্য ইচ্ছা শক্তি তাকে সফলতা দিয়েছে। তারা ৩ ভাইয়ের মধ্যে দুই ভাই শারীরিক প্রতিবন্ধী তিনি হচ্ছেন সবার বড়। সমাজে তাকে নিয়ে মানুষ হাসাহাসি করলেও তার ভিতরের প্রতিভা তাকে জাগিয়ে তুলেছে।
শান্ত খানের জন্ম লক্ষীপুর রামগঞ্জে। ২২ বছরের এই যুবকের বেড়ে উঠা পরিবারের সাথে রামগঞ্জেই। রামগঞ্জের সুনামধন্য হরিশ্চর মাদ্রাসা থেকে লেখাপড়া করেন তিনি। বর্তমানে তার বাবা গ্রামের একজন ছোট ব্যবসায়ী মা গৃহিণী। শান্ত খানের প্রবল ইচ্ছে একদিন শু-প্রতিষ্ঠিত হয়ে তারমত প্রতিবন্ধীদের পাশে দাড়াবেন।