মানুষ নাকি কোনো একটা নির্দিষ্ট কাজ বারবার করতে করতে একটা সময় বিরক্ত হয়ে যায়। কিন্তু লেখক কল্লোল লাহিড়ীর সুবাদে এরকম একজনের দেখা পেয়েছি যে একটি নির্দিষ্ট কাজকেই আগলে ধরে বেঁচে আছে। সে আমাদের ইন্দুবালা। পেটের দায়ে কলকাতার ছিন্নমূর্তি লেনে জ্বলে ওঠা ইন্দুবালার সেই ভাতের হোটেলে জ্বলে উঠা উনুনের আঁচ আজ এত বছরেও নেভানো যায়নি।
গ্রাম বাংলার পথে-ঘাটে বেড়ে ওঠা এক মেয়ের শহুর এলাকায় বউ হয়ে আসার পর অল্প বয়সে বিধবা হয়ে যাওয়া মেয়েটার নিজের সন্তানদের নিয়ে বেঁচে থাকা এবং সন্তানগুলোকে গড়ে তোলার গল্প জুড়ে আছে ইন্দুবালা ভাতের হোটেলের সবগুলো খাবারের সাথে। বয়ামের আচার কিংবা নাড়ুর সাথে সাথে ইন্দুবালার স্মৃতির কৌটা থেকেও কিছু না কিছু বের হয়ে আসে। তার জন্য বোধহয় খাবারের স্বাদটা আরো বেড়ে যায়।
হোটেলের পাশের হোস্টেলের কিংশুক কে কেনো জানি বারংবার আমার নিজের প্রতিচ্ছবি বলে মনে হচ্ছিল। তারমতো আমারও মন চাচ্ছিল ইন্দুবালাকে দিদা ডাকতে। অবশ্য ইন্দুবালাকে দিদা ডাকার আরেকটা কারণও রয়েছে। তার বড় নাতনী সুনয়নীর প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম যে। সবার জীবনে থাকা একটি করে পূর্ণতা না পাওয়া ভালোবাসা গল্পের মত আমার জীবনে না হয় একটি গল্প থাকলো। ও হ্যাঁ আমাদের দিদার জীবনেও কিন্তু একটি অপূর্ণ ভালবাসার গল্প রয়েছে। সেই গল্পটি জানতে কিংবা দিদার খাবারের স্বাদ পেতে আপনাদের সকলের আমন্ত্রণ রইল ইন্দুবালা ভাতের হোটেলে।
বইঃ ইন্দুবালা ভাতের হোটেল
লেখকঃ কল্লোল লাহিড়ী
প্রচ্ছদঃ মেখলা ভট্টাচার্য
প্রকাশকঃ সুপ্রকাশ (নদীয়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত)
প্রথম প্রকাশঃ জুলাই, ২০২০
মুদ্রিত মূল্যঃ ২৩০ টাকা
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৫৭