amadermuktokantho
চট্টগ্রামরবিবার , ১৪ মে ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ইবিতে ক্লাসরুমের তীব্র সংকট ভোগান্তিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

ইবি প্রতিনিধি:
মে ১৪, ২০২৩ ৯:০২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

তীব্র ক্লাসরুমের সংকটে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৭টি বিভাগ। এর মধ্যে ৩ বিভাগের নেই কোনো স্থায়ী ক্লাসরুম। এর ফলে ব্যাহত হচ্ছে বিভাগগুলোর নিয়মিত শিক্ষাকার্যক্রম। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। এতে প্রশাসনের নেই কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ।

সারেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগ প্রতিষ্ঠার ছয় বছর, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ও সমাজ কল্যাণ বিভাগের পাঁচ বছর, চারুকলা বিভাগের তিন বছর এবং কমিউনিকেশন এন্ড মিডিয়া জার্নালিজম এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠার দুই বছর পূর্ণ হলেও কমেনি ক্লাসরুমের সংকট।

এর মধ্যে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের ছয় ব্যাচের জন্য ২ টি, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ও সমাজ কল্যাণ বিভাগে পাঁচ ব্যাচের জন্য ১টি ক্লাসরুম বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়া চারুকলা, কমিউনিকেশন এন্ড মিডিয়া জার্নালিজম এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের জন্য স্থায়ী কোনো ক্লাসরুম বরাদ্দ হয়নি। চারুকলা বিভাগের ক্লাস টিএসসিসি এবং রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের অস্থায়ী দুটি কক্ষে, কমিউনিকেশন এন্ড মিডিয়া জার্নালিজম বিভাগ আইআইইআর ভবনের অস্থায়ী একটি কক্ষে এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের ক্লাস গনিত বিভাগ ও জিমনেসিয়ামের অস্থায়ী একটি কক্ষে নেয়া হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে রুটিন অনুসারে সময় মতো ক্লাস না হওয়ায় সিলেবাস শেষ হতে বিলম্ব হচ্ছে। এছাড়া এক ব্যাচের ক্লাস শেষ হতে না হতেই অন্য ব্যাচের এর শিক্ষার্থীরা একই ক্লাসরুমের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকে। এতে মনোসংযোগে যেমন ব্যাঘাত ঘটে ক্লাস রুমে অবস্থানরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। তেমনি অস্বস্তি বোধ করেন দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীরাও।

শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলেন, একটি-দুটি ক্লাসরুমে ডিপার্টমেন্টের ৫/৬টি ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা চালানো খুবই কষ্ট সাধ্য। একারণে নিয়মিত ক্লাস এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণে বিঘ্ন হচ্ছে। এতে পিছিয়ে পড়ছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ভর্তির পর এ সংকট আরও প্রকট আকারে ধারণে করবে।

 

সমাজ কল্যাণ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সভাপতি শ্যাম সুন্দর সরকার ” আমাদের মুক্তকণ্ঠকে বলেন, আমাদের একটা ক্লাসরুম আছে একটা। কোন পরীক্ষা থাকলে অন্যান্য ব্যাচের ক্লাস নেয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পরে। এটা নিয়ে আমাদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সকলেই সমস্যায় পড়ছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান” আমাদের মুক্তকণ্ঠকে ” কে জানান, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবনের উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের কাজ চলছে। আশা করি ঈদুল আজহার বন্ধের পরে আমরা বিভাগগুলোকে ক্লাসরুম হস্তান্তরের চেষ্টা করব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম” আমাদের মুক্তকন্ঠকে ” বলেন, এসব সমস্যা রাতারাতি সমাধান করা যায় না। এক-দুই বছরের মধ্যে অনেকটাই সমাধান হয়ে যাবে। আমাদের নতুন ভবন যেগুলো হচ্ছে তা থেকে ক্লাসরুম দিয়ে সংকট কমিয়ে আনতে হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।