অটো রাইস মিল সম্পন্ন হওয়ার আগেই লাইসেন্স পেয়েছেন মিলের মালিক। এমনকি নাম উঠিয়েছেন বরাদ্দের তালিকায়ও। এমন ঘটনাটি ঘটিয়েছেন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের চরশংকর গ্রামের মেসার্স ভূইয়া অটো রাইস মিলের মালিক আব্দুস ছাত্তার ভূইয়া ।
ময়মনসিংহ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় ৩টি অটো ও ৬চি হাস্কিং রাইস মিলের লাইসেন্স রয়েছে। গতবছর ২টি অটো রাইস মিলে লাইসেন্স থাকলেও এবছর মেসার্স ভূইয়া অটো রাইস মিল নামের একটি নতুন লাইসেন্স (৩৫০/২২-২৩) সংযোক্ত হয়েছে।
নিয়ম রয়েছে রাইস মিলের লাইসেন্স পেতে মিল সম্পন্ন করাটা বাধ্যতা মুলক। আর অটো রাইস মিল সম্পন্ন করতে বিদ্যুৎ সংযোগ, ডায়ার, বয়েলার, শুটার আবশ্যক।
সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, ভূইয়া অটো রাইস মিল বাহির থেকে অস্তিত্ব দেখা গেলেও ভিতরে নেই মিলের যন্ত্রাংশ। নেই বিদ্যুৎ সংযোগ, বয়েলার, অসম্পুর্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সাবষ্টেশন, ডায়ার, শুটারসহ অন্যান্য কাজ।
মিল সম্পন্ন না করেই লাইসেন্স পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মিল মালিক আব্দুস ছাত্তার ভূইয়া জানান, লাইসেন্সের জন্য কাগজপত্র জমা দিয়েছি কিন্তু লাইসেন্স বাবদ সরকারি ফি জমা দেইনি। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের সাথে চুক্তি পত্রের ভিত্তিতে বরাদ্দের তালিকায় আমার নাম লিপিবদ্ধ হয়েছে।
জানতে চাইলে ময়মনসিংহ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, মিল সম্পন্ন না করে লাইসেন্স পাওয়ার কোন বিধান নেই। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিল সরেজমিন পরিদর্শন করে আমাদের সুপারিশ করেন। আর তাদের সুপারিশের ভিত্তিতেই আমরা লাইসেন্স প্রদান করেছি। প্রকৃতপক্ষে যদি মিলটি অসম্পন্ন থাকে তাহলে ওই মিলের বরাদ্দ বাতিল করা হবে।
এদিকে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কথা অস্বীকার করে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, অটো রাইস মিলের লাইসেন্সের বিষয়টি সম্পুর্ন-ই জেলা থেকে নিয়ন্ত্রন করা হয়। এখানে আমাদের কোন প্রতিবেদনের প্রয়োজন নেই। আমরা কোন প্রতিবেদন দেইনি, যা করার জেলা থেকেই করা হয়েছে।