জাতীয় দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় ২১ সেপ্টেম্বর ও স্যাটেলাইট টেলিভশন আরটিভিতে ২০ সেপ্টেম্বর “মনপুরায় লঞ্চে হামলা, আহত ৫” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। উক্ত সংবাদে তাসরিফ-১ লঞ্চের স্টাফদেরকে ফারহান-৪ লঞ্চের স্টাফ কর্তৃক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ আনা হয়। এব্যাপারে এক প্রতিবাদলিপির মাধমে উক্ত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন এমভি ফারহান-৪ লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।
প্রতিবাদলিপি ও স্থানীয় আহত ব্যবসায়ী-মোকামিদের সূত্রে জানা যায়, প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও কাল্পনিক। একটি স্বার্থান্বেষী মহল সম্মানিত সাংবাদিক ভাইদেরকে ভুল তথ্য দিয়ে প্ররোচিত করে ফারহান লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করা ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করেছে।
এব্যাপারে আহত ব্যবসায়ী মোঃ ছানাউল্লাহ ও ওসমান, বলেন , গত ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১ টায় মনপুরার রামনেওয়াজ ঢাকার লঞ্চ ঘাটে ফারহান-৪ লঞ্চে মাছের ঝুড়ি উঠাচ্ছিলো মোকামিরা। এসময় হাতিয়া থেকে ছেড়ে এসে ফারহান-৪ লঞ্চের পাশেই ঘাট দেয় তাসরিফ লঞ্চ। টার্মিনালে থাকা একটি মাছের ঝুড়ি ব্যবসায়ীরা ফারহান লঞ্চে ওঠাতে গেলে তাসরিফ লঞ্চের স্টাফরা বাধা দেয়। কথাকাটির একপর্যায়ে মাছ মোকামিদেরকে মারধর শুরু করে তাসরিফ-১ লঞ্চের স্টাফরা। ততক্ষনে ফারহান-৪ লঞ্চটি ঘাট ত্যাগ করে ঢাকার উদ্দেশ্য চলে যায়। এখবর শুনে আমরা তাদের সাথে কথা বলতে গেলে তাসরিফ-১ লঞ্চের স্টাফরা লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তারা বেদম মারধর করে আমাদেরকে রক্তাক্ত ও জখম করে। এতে অন্তত ৮ জন আহত হয়। উক্ত ঘটনায় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে মনপুরা থানায় সাধারন ডায়েরি করা হয়েছে।
এব্যাপারে আহত মোকামি রিয়াজ, শরীফ, শিপন, শরিফ-২, শামীম জানান, আমাদের সকল মাছের ঝুড়ি আমরা ফারহান-৪ লঞ্চে উঠাই। বাকি ছিলো একটা ঝুড়ি। সেটা ওঠাতে গেলে তাসরিফ-১ লঞ্চের স্টাফরা বাধা দেয়। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা আমাদেরকে লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করে জখম করে।
এব্যাপারে এমভি ফারহান-৪ লঞ্চের সুপারভাইজার মোঃ ফারুক গাজী বলেন, তাসরিফ-১ লঞ্চটি ঘাট দেয়ার পর মাছের ঝুড়ি ওঠাতে মোকামিদেরকে বাধা দেয়। তখনই ফারহান-৪ লঞ্চটি মনপুরা লঞ্চঘাট ত্যাগ করে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। পরে জানতে পারলাম, তাসরিফ লঞ্চের স্টাফরা মাছ ব্যবসায়ী ও মোকামিদেরকে মারধর করে। উক্ত ঘটনায় আমার বা ফারহান নেভিগেশন কোম্পানীর কোনপ্রকার সম্পৃক্ততা নেই।