amadermuktokantho
চট্টগ্রামশনিবার , ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

এম.পি. নাহিদের আশ্রয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান তার নৈরাজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯ ৮:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সরকারি কাজের আদেশ দখলের জন্য আবুল কাশেম পল্লব বিয়ানীবাজারের একজন কুখ্যাত ব্যক্তি, তার বিরোধীদের প্রতি নৃশংসতা এবং সন্ত্রাসী ব্যবহারে সে এসব কাজ করে থাকে।
জনাব নুরুল ইসলাম নাহিদ, এম.পি. ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে জনাব পল্লবকে ক্রমাগত আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে, যা তাকে আইনশৃঙ্খলা না মেনে চলার আশ্রয় দেয়। এম.পির আশীর্বাদে পল্লব উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বিসিএল,ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন) এবং যুবলীগের (জেএল, ক্ষমতাসীন দলের যুব শাখা) একটি অংশে তার প্রভাব এখনও ব্যাপক। বর্তমানে, এই দুই শাখার সন্ত্রাসীরা বাস ও ট্রেন স্টেশনের দোকান থেকে টোল নেয়। এছাড়া কোনো ব্যবসায়ী তাকে মাসিক চাঁদা না দিয়ে ব্যবসা চালাতে পারে না। উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার আগে ছাত্র সংগঠনের মধ্যে অধিপত্য প্রতিষ্ঠা নিয়ে পাভেলের সঙ্গে পল্লবের শত্রæতা সর্বজনবিদিত। তাদের মারপিট এমনকি জাতীয় দৈনিকের নজর কেড়েছে।২০১৫ সালের নভেম্বরে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বিসিএল) একটি গ্রুপ বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের একটি শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করে এবং তাদের প্রতিদ্বন্দীদের আক্রমন করার সময় গুলিসহ তিনজনসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, ১৩ নভেম্বও ২০১৫ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নেতা পাভেল মাহমুদের অনুসারীরা ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নেতা আবুল কাশেম পল্লবের সমর্থক উজ্জলকে মারধর করে। ঘটনার ধারাবাহিকতায় পল্লব গ্রæপের ছাত্রলীগের লোকজন ঢুকে পরে। বাংলা বিভাগের শ্রেণীকক্ষে হামলা চালায় তাদের প্রতিপক্ষ। তারা কলেজ শাখার সাবেক অর্থ সম্পাদক মাহমুদ হোসেন জুয়েলসহ ছাত্রলীগ কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। হামলাকারীরার নির্বিচারে গুলি চালালে তিন ছাত্র আনোয়ার, বায়েজিদ ও সাজুকে আহত করে। এ গঠনার পর ক্ষমতাসীন আওয়ামীলেিগর ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (বিসিএল) ৩০ জনেরও বেশি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আবুল কাশেম পল্লবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন যে, পাভেল মাহমুদের নেতৃত্বে দলটি তার অনুসারীদের উপর হামলা শুরু করে তার অনুসারীদের যারা শুধুমাত্র পড়াশোনায় ব্যস্ত থাকে। কোনো উপায় না পেয়ে তার অনুসারীরা শুধু দুর্বৃত্তদের হাত থেকে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে। তিনি হামলাবর সঠিক বিচার দাবি করেন। যোগাযোগ করে পল্লবের প্রতি সমর্থনের বিষয়ে জানতে চাইলে নুরুল ইসলাম নাহিদ, এম.পি. কোন মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। তিনি শুধু বলেন, আইনশৃঙ্খলা বহিনী বিষয়গুলো তদন্ত করেছে।

আরো এক ঘটনায়, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০১৭ সিলেটের বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে দলগত সংঘর্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। পুলিশ জানায় নিহত খালেদ আহমদ লিটু (২৩) জেলা চাত্রলীগের একজন কর্মী ছিলেন। সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা জানান, ছাত্রলীগের দুটি উপদল- একটি জেলা শাখা নেতা পাভেলে মাহমুদের নেতৃত্বে এবং অন্যটি উপজেলা শাখার সাবেক যুগ্ন আহবায়ক আবুল কাশেম পল্লবের নেতৃত্বে, সকাল ১১টার দিকে কলেজ ক্যাম্পোসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, সংঘর্ষেও সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে গুলি বিনিময় হয় এবং একপর্যায়ে পাভেলের অনুসারী লিটু মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার সময় কলেজের একটি ক্লাসরুমের ভেতরে ছিলেন লিটু। খবর পেয়ে পুলিশ লাস উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রায়হান চৌধুরী জানান, খালেদ ছাত্রলীগের কর্মী ও পাভেলের অনুসারী ছিলেন। ঘটনার পর বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ সহকর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের সহযোগী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের চার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে যে, তারা সংঘর্ষে বব্যবহৃত একটি ছোট বন্দুক এবং একটি ছুরি উদ্ধার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ফাহাদ আহমেদ, কামরান হোসেন, এমদাদুর রহমান ও দেলোয়ার হোসেন মিটু। বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, নিহতের বাবার খলিল উদ্দিন সাতজন জ্ঞাত ও অজ্ঞাতনামা পাঁচজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছে। পুলিশ কর্মকর্তা জানান, লিটুর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের পরপরই বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগ কর্মী ফাহাদ, কামরান ও এমদাদুরকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আটককৃত ছাত্রলীগ কর্মীদেও কাছ থেকে পাওয়া তথ্যেও ভিত্তিতে সোমবার রাতে কলেজ রোডের একটি সবজির দোকানের কাছে একটি পরিত্যক্ত রিভলভার পাওয়া গেছে, চন্দন বলেন, পরে দেলোয়ারকেও তুলে নেওয়া হয়। স্থানীয়রা জানায়, এলাকায় আধিপত্য প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র কওে আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবুল কাশেম পল্লব ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা পাভেল মাহমুদের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের শত্রæতার সর্বশেষ শিকার হন লিটু। পৌরসভা এলাকার নায়াগ্রাম রোডে মোবাইল ফেনের দোকান চালানোর পাশাপাশি লিটু পাভেলের গ্রুপের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানা যায়।এর আগে উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব এ ঘটনায় তার সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেন এবং এম.পি. নাহিদ কোন মন্তব্য করতে অস্বীকার করে। অভিযোগ আছে যে, এম.পি নাহিদের নীরব সমর্থন থাকায় প্রশাসন ও পুলিশ পল্লবের বিরুদ্ধে কিছু করতে পারছেনা। ফলে, পল্লব একজন বেপরোয়া নেতা হয়ে উঠেছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।