আরো এক ঘটনায়, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০১৭ সিলেটের বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে দলগত সংঘর্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। পুলিশ জানায় নিহত খালেদ আহমদ লিটু (২৩) জেলা চাত্রলীগের একজন কর্মী ছিলেন। সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা জানান, ছাত্রলীগের দুটি উপদল- একটি জেলা শাখা নেতা পাভেলে মাহমুদের নেতৃত্বে এবং অন্যটি উপজেলা শাখার সাবেক যুগ্ন আহবায়ক আবুল কাশেম পল্লবের নেতৃত্বে, সকাল ১১টার দিকে কলেজ ক্যাম্পোসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, সংঘর্ষেও সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে গুলি বিনিময় হয় এবং একপর্যায়ে পাভেলের অনুসারী লিটু মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার সময় কলেজের একটি ক্লাসরুমের ভেতরে ছিলেন লিটু। খবর পেয়ে পুলিশ লাস উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রায়হান চৌধুরী জানান, খালেদ ছাত্রলীগের কর্মী ও পাভেলের অনুসারী ছিলেন। ঘটনার পর বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ সহকর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের সহযোগী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের চার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে যে, তারা সংঘর্ষে বব্যবহৃত একটি ছোট বন্দুক এবং একটি ছুরি উদ্ধার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ফাহাদ আহমেদ, কামরান হোসেন, এমদাদুর রহমান ও দেলোয়ার হোসেন মিটু। বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, নিহতের বাবার খলিল উদ্দিন সাতজন জ্ঞাত ও অজ্ঞাতনামা পাঁচজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছে। পুলিশ কর্মকর্তা জানান, লিটুর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের পরপরই বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগ কর্মী ফাহাদ, কামরান ও এমদাদুরকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আটককৃত ছাত্রলীগ কর্মীদেও কাছ থেকে পাওয়া তথ্যেও ভিত্তিতে সোমবার রাতে কলেজ রোডের একটি সবজির দোকানের কাছে একটি পরিত্যক্ত রিভলভার পাওয়া গেছে, চন্দন বলেন, পরে দেলোয়ারকেও তুলে নেওয়া হয়। স্থানীয়রা জানায়, এলাকায় আধিপত্য প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র কওে আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবুল কাশেম পল্লব ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা পাভেল মাহমুদের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের শত্রæতার সর্বশেষ শিকার হন লিটু। পৌরসভা এলাকার নায়াগ্রাম রোডে মোবাইল ফেনের দোকান চালানোর পাশাপাশি লিটু পাভেলের গ্রুপের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানা যায়।এর আগে উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব এ ঘটনায় তার সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেন এবং এম.পি. নাহিদ কোন মন্তব্য করতে অস্বীকার করে। অভিযোগ আছে যে, এম.পি নাহিদের নীরব সমর্থন থাকায় প্রশাসন ও পুলিশ পল্লবের বিরুদ্ধে কিছু করতে পারছেনা। ফলে, পল্লব একজন বেপরোয়া নেতা হয়ে উঠেছে।