হিমালয়ের কন্যা পঞ্চগড় থেকে শুরুটা,
কে জানতো সেদিনের সেই ছোট্ট শিশুটা আজকের তারুণ্যের অহংকার হবে।
কে জানতো স্যার এ. এফ. রহমান হলের সেই ছাত্রটি, আজকে স্মার্ট তরুণ সমাজ গড়তে সাহায্যে করবে।
আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বলীয়ান,
একজন ছাত্রনেতার কথা বলছি।
আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের কথা বলছি।
আমি বলছি, ইংরেজদের বিরুদ্ধে সোচ্চার কন্ঠস্বর নুরুলদীনের ঐতিহ্যের বাহকের কথা।
আমি বলছি এক অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার যোদ্ধার গল্প।
স্বপ্নের ফুল এসে দেখো এখানে একজন কবি এসে বসে আছে, তরুণ্যের জয়গান গাহিবে বলে।
তুমি কি দেখিতে পাও না?
টি এস সির রাজু ভাস্কর্য বলে উঠে, এসো মুখরিত করো তোমাদের জয়গানে,
“জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু “।
অতঃপর তারুণ্যের প্রতীক এসে যাহা বলিলো শুনে স্তব্ধ হয়ে রহিলাম:-
“স্লোগানের সুর মুখে নয়,
অন্তরে জ্বালাও, গড়ে উঠো নতুনত্বে।
জেগে উঠো তোমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে
তোমরাই আহরণ করিবে জ্ঞান, শান্তি বজায় রেখে, প্রগতি দিয়ে তুলিবে নৌকার পাল।
তোমাদের হতে হবে সভ্য,
তোমাদেরই হতে হবে এক একটা মানবসম্পদ।
তোমাদের থেকে শুরু,
তোমাদেরকেই চেয়ে দেখিবে বাংলাদেশ।
এইতো সময় এসেছে নিজেকে পরিবর্তনের,
এইতো সময় এসেছে সোনার বাংলা গড়ার।
আবেগ দিয়ে নয় বিবেক দিয়ে চলতে শিখো,
শিখো মানবতার কল্যাণময় কাজ।
তোমরা কি দেখো নি,৭১ এর ইতিহাস?
পতাকা কিভাবে অর্জন করিতে হয় ।
তোমরা কি পড়ো নি বঙ্গবন্ধুর ” আমার দেখা নয়াচীন”?
কম্যুনিস্টরা কিভাবে গড়িয়া তুলেছিল একটি দেশ।
তোমরা কি পড়ো নি বঙ্গবন্ধুর “অসমাপ্ত আত্মজীবনী”?
দেখো নি, বঙ্গবন্ধুর চাওয়া সোনার বাংলাদেশ।
তোমরা কি পড়ো নি ভাষাশহীদদের ত্যাগের কথা?
দেখো নি, কিভাবে মায়ের ভাষা অর্জন করিতে হয়।
তোমরা কি দেখো নি ৭৫ এ পরিবার হারা সন্তানকে,
কিভাবে মৃত্যুর মুখ থেকে বার বার ফিরে এসে
সোনার বাংলা গড়ার নেতৃত্ব দিচ্ছে?
তোমরা কি দেখো নি দেশের অপশক্তি রুখে,
কিভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়?
তোমরা কি দেখোনি বঙ্গবন্ধু কন্যার মত,
কিভাবে মাথা উচু করে বাঁচতে হয়?
তোমাদেরকেই আসিতে হবে এগিয়ে,
গড়িতে হবে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ।
এসো দীপ্ত পায়ে ছুটে,
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ি।”
লেখক: মো. আলাল বাবু
শিক্ষার্থী,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।