কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় বকশিশের ১০০ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে সহকর্মীকে ছুরিকাঘাতে হত্যায় অভিযুক্ত রাব্বি হোসেনকে (২২) গ্রেফতার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাত সাড়ে ৮ টায় কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযুক্ত রাব্বি সদর দক্ষিণ উপজেলার কৃষ্ণপুর এলাকার মো. শাহজাহানের ছেলে।
এ ঘটনায় নিহত মো. মারুফ (১৯) কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর ইউনিয়নের হাড়াতলী ঘোষগাঁও গ্রামের মৃত হাফেজুর রহমানের ছেলে।
শুক্রবার (১২ মে) র্যাব কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, গ্রেফতার রাব্বীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, মারুফ (১৯) ও রাব্বি গত প্রায় তিন মাস আগে উপজেলার বেলতলী বাজার সংলগ্ন এসকে ফিলিং স্টেশনে নজেলম্যান হিসেবে চাকরিতে যোগ দেয়। শিফট অনুযায়ী গত ৯ মে রাত ৮টা থেকে ১০ মে সকাল ৭টা ৫৫ পর্যন্ত মারুফের ডিউটি ছিল। ডিউটি শেষে সহকর্মী রাব্বিকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয় সে। তখন মারুফের ডিউটির সময় বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের কাছ থেকে পাওয়া বকশিশের ১০০ টাকার ভাগ দাবি করে রাব্বি। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রাব্বী হঠাৎ অফিস কক্ষে গিয়ে একটি ধারালো ছুরি নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে। সে বেঞ্চের ওপর বসে থাকা অবস্থায় মারুফের বুকে ও গলায় পরপর ছুরিকাঘাত করে। এরপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে বাড়িতে চলে যায়। পরে পলাতক থাকা অবস্থায় রাব্বীকে বৃহস্পতিবার কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।
র্যাব কর্মকর্তা সাকিব আরও জানান, রাব্বীর স্বীকারোক্তি ও প্রাপ্ত তথ্য মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি তার বাড়ির একটি কক্ষের চালের ড্রামের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার রাব্বীকে সদর দক্ষিণ থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।
এর আগে, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১০ মে নিহতের মা বাদী হয়ে রাব্বীর বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, রাব্বি স্বাভাবিকভাবেই মারুফের সামনে এসে ফল কাটার ছুরি দিয়ে দুই সেকেন্ডে তিন বার আঘাত করে। আঘাতের পর ঘটনাস্থল থেকে মারুফ দৌড় দিলেও সামনে গিয়ে রক্তক্ষরণে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।