amadermuktokantho
চট্টগ্রামবৃহস্পতিবার , ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জবি ক্যাম্পাসে যত্রতত্র ময়লায় অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ

জবি প্রতিনিধি:
ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩ ৮:৩৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যত্রযত্র জমে আছে ময়লার স্তুপ,  কনস্ট্রাকশন ওয়েস্টেজ, অপ্রয়োজনীয় আসবাব ও সৌন্দর্য  বিনষ্টকারী ব্যানার পোস্টার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজের জন্য টেন্ডার প্রাপ্ত কোম্পানিগুলোর দায়িত্ব থাকে কনস্ট্রাকশনের পর যে সকল ওয়েস্টেজ বের হবে তা অপসারণ করে পরিচ্ছন্নতা দেখিয়ে তারপর বিল নিবে। কিন্তু দায়িত্বশীলদের অগোচরে তা পরিষ্কার না করেই বিল নিয়ে চলে যায় কোম্পানীগুলো। সে ময়লা জমে থাকে ক্যাম্পাসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন যায়গায় কাজ শেষ হয়েছে অনেক আগে  অথচ এখনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বিভিন্ন স্থানে জমে আছে ময়লার স্তুপ। এ বিষয়ে একে অপরের দিকে কাঁদা  ছোড়াছুড়ি করেই পেরিয়ে যাচ্ছে দিন, অপরিচ্ছন্নই থাকছে ক্যাম্পাস।

প্রতিদিন প্রায় ১৬ হাজারের অধিক শিক্ষার্থীর পদচারণায় মুখরিত থাকে ক্যাম্পাস। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ যদি শিক্ষার্থীদের আশানুরুপ  না হয় আর মানসিক তৃপ্তির অভাব থেকে যায় তবে বিকাশ আর শিক্ষার অগ্রগতি কেমন হবে তা ভীষণ সন্দিহান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নামমাত্র বোটানিক্যাল গার্ডেনের একপাশ বালু, ইটপাটকেল আর নানা রকম আবর্জনার স্তুপ জমে আছে দীর্ঘদিন ধরে। সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামের পাশে দেখা যায় বাশ, কাচ, লোহা লক্কর পড়ে আছে দীর্ঘদিন।

এছাড়া বিজ্ঞান অনুষদের রসায়ন বিভাগের সামনে জমে আছে আরো ময়লার স্তুপ সেই সাথে অনেক সময় ই দেখা যায় ক্যাম্পাসে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহৃত গাড়ি পরিষ্কার করা হয়।

এ বিষয়ে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের নির্দেশনাদানকারী ও সংস্থাপন এর ডেপুটি রেজিস্ট্রার জনাম মো. ইসমাইল হোসেন  এর সাথে কথা বললে জানা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচ্ছন্ন কর্মীর সংকট, বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র হল উদ্বোধনের পর যে কয়জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের স্থানে নতুন নিয়োগ হয়নি। কর্মী সংকটের পাশাপাশি ময়না ফেলার পর্যাপ্ত স্থান না থাকায় পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ব্যাহত হয়। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রেনগুলোর ভেতর দিয়ে গ্যাস  ও পানির  লাইন  নিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পরিষ্কার করার ব্যবস্থাও। এ বিষয়ে  পরবর্তীতে আর কোনো ব্যবস্থাও  নেওয়া হয়নি বলে জানা যায়।

পরিচ্ছন্নতা ও পরিবেশ উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আব্দুল কাদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে পরিচ্ছন্নতা খাতে যে পরিমান অর্থ বরাদ্দ তা যথেষ্ট নয়। পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা কাজ করছে। তবে লোকবল সংকট তে আছেই।  কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারী বর্জ্য কিংবা কনস্ট্রাকশন ওয়েস্ট সড়ানোর দায়িত্ব তো পরিবেশ কমিটির না। যারা টেন্ডার দেন ও কাজ বুঝে নেন তারাই এটি দেখার কথা বলে তিনি জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরে থেকে জানা যায় বাজেট কমানো হয়নি। তবে মেজরিটির ভিত্তিতে কাজে খরচ কমানোর নির্দেশনা আছে।

এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের মূল বাজেট বই থেকে জানা যায় এবারের বাজেট হয়েছে ৫ লক্ষ টাকা যেখানে আর ২ লক্ষ টাকা প্রয়োজন যা ঘাটতি হিসেবে দেখানে হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো: হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী জানান, “অকশনের মাধ্যমে যে সকল জিনিস বিক্রি হবে তা নিয়ে গেলে পরে আমরা এসব পরিষ্কার করে দেবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেখানে যেখানে এসব বর্জ্য আছে সেগুলো থেকে বিক্রয় যোগ্য জিনিস আছে বলেই তা জমে আছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মী  নিয়োগ ও ঘাটতি পূরণের জন্য আমরা চেষ্টা করে চলেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্ন কর্মীর সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তাও স্বীকার করেন তিনি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।