জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস- ২০২৩ উপলক্ষে ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ডবিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধিতে ‘স্মার্ট বাংলাদেশের প্রত্যয় দুর্যোগ প্রস্তুতি সবসময়’ স্লোগানে রেখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অগ্নিনির্বাপক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৫ মার্চ) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ চত্বরে মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
মহড়ায় ভূমিকম্পে করণীয়, অগ্নি প্রতিরোধ, নির্বাপণ, উদ্ধার ও জরুরি বহির্গমন বিষয়ে বিভিন্ন কৌশল প্রদর্শন করা হয়। পাশাপাশি ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ডের সময় ব্যক্তিগত পর্যায়ে করণীয় সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা ও রোগীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিরাপদ ভবন থেকে বের করা সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেওয়া হয়।
ফায়ার সার্ভিসের ৫০ কর্মী মহরায় অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া এফ. এস. সি. ডি ভলেন্টিয়ার, বিএনসিসি, রোভার স্কাউটস, রেঞ্জার ও পুলিশ এতে অংশ নেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসান।
তিনি বলেন, পুরান ঢাকা একটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা তাই ফায়ার সার্ভিসের এই মহড়া দেখার মাধ্যমে আমরা দুর্যোগ সম্পর্কে সচেতন হতে পারব।
তিনি আরো বলেন, আমরা স্যাটালাইট ব্যবহার করে আবহাওয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্যোগ সম্পর্কে জানতে পারলেও ভূমিকম্প সম্পর্কে জানতে পারি না। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের এই মহড়া দেখার মাধ্যমে ভূমিকম্প কালীন সময়ে করণীয় গুলো সম্পর্কে জানার মাধ্যমে আমরা সচেতন হতে পারব।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আবদুল ওয়াদুদ, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো: ওহিদুজ্জামান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল এবং দুর্যেোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক জনাব মোঃ ফিরোজ উদ্দিন।
সভাপতির বক্তব্যে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, বাংলাদেশ প্রাকৃতিকভাবে একটি ঝুকিপূর্ণ এলাকা। বছরের বিভিন্ন সময়ে নানারকম দূর্যোগের সম্মূখন হয়ে থাকে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন গুলো অনেক পূর্বে হওয়ায় বেশি ভাগ ভবন গুলো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। কিছুদিন পূর্বে ছাত্রী হলের কিচেনে আগুন লেগেছিলো।
ফায়ার সার্ভিস টিম এসে দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করেছিলো। বাংলাদেশের বিভিন্ন রোল মডেল প্রতিষ্ঠান গুলোর ভেতর ফায়ার সার্ভিস একটি অন্যতম দক্ষ প্রতিষ্ঠান। তারা নিজেদের দক্ষতার মাধ্যমে অনেক দূর্যোগের ভয়াবহ ক্ষতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ সক্ষম হয়েছে। তাই তাদের এই মহরা গুলো পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে অনেক দূর্যোগ সম্পর্ক সচেতন হতে পারব আমরা।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক এস. এম. আকতার হোসাইন। আলোচনা সভা শেষে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের চৌকস ট্রেনার দল ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি মহড়া প্রদান করেন।