আজ ৩০ মে দুই বাংলার জনপ্রিয় লেখিকা ও সাহিত্যিক শাম্মী তুলতুলের জন্মদিনে উপলক্ষে আমাদের মুক্তকণ্ঠ পরিবারের পক্ষথেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
পারিবারিক পরিচয়- একটি সাহিত্য সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, উচ্চশিক্ষিত, অভিজাত, রক্ষণশীল ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান তিনি। তার জন্ম চট্টগ্রাম শহরেই। বাবা আবু মোহাম্মদ খালেদ দেশ বিজয়ের সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। বর্তমানে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। মা রাউজান কলেজের ছাত্র সংসদ নেত্রী/ ভিপি ছিলেন। বর্তমানে গৃহীনি হিসেবে পরিবার পরিচালনা করছেন।
পড়াশোনা- লেখিকা তুলতুল চটগ্রাম কলেজ থেকে এম এস সি করে বর্তমানে আইন বিভাগে পড়াশোনা করছেন।
ছোটবেলা-লেখিকা ছোটবেলায় পড়ালেখায় চরম ফাঁকিবাজ ছিলেন টিচার এলে নানা ওজুহাতে তাড়াতেন। আর সেই মেয়েটি বর্তমানে একজন জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক।
শুধু তাই নয়- একাধারে একজন লেখক, ঔপন্যাসিক, শিশুসাহিত্যিক, আবৃত্তিকার, রেডিও অনুষ্ঠান পরিচালক, খবর পাঠক, নজরুল অনুরাগী, দাবা খেলোয়াড়, মডেল, নাটক রচয়িতা।
লেখিকার লেখনির বিষয়ে তার প্রিয় বক্তরা জানায়, তার লিখায় থাকে সব সময় এক ধরনের ম্যাসেজ যা সমাজ এবং সমাজ সচেতন করার এক প্রকার শক্তি। খুব অল্প বয়সেই তিনি দেশ ও দেশের বাইরে লেখনি দিয়ে জয় করছেন অজশ্র মানুষের ভালোবাসা।
জানাগেছে- ছোটবেলা থেকেই তার লেখালেখির হাতেখড়ি। সেই থেকে একযুগের চাইতেও বেশি সময় ধরে প্রথম আলো, সমকাল, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, ইত্তেফাক, বাংলাদেশ প্রতিদিন, শিশু, যুগান্তর নবারুণ, আজাদী, পূর্বকোণ সহ দেশের আঞ্চলিক, জাতীয় দৈনিক, মাসিক ও দেশের বাইরে ভারত , জার্মানি সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লিখছেন। তার এই পর্যন্ত ভারত বাংলাদেশ মিলিয়ে বইয়ের সংখ্যা ১৬ টি।
তার খ্যাতিনামা বইগুলোর মধ্যে হলো- মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস, চোরাবালির বাসিন্দা, বাল্যবিবাহের ওপর লিখিত উপন্যাস পদ্মবু, এইডসের ওপর লিখিত প্রেমের উপন্যাস মনজুয়াড়ি এই বইগুলো যথেষ্ট পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে।
লেখিকার অর্জন- মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস চোরাবালির বাসিন্দার জন্য কবি পরিষদ সাহিত্য সন্মাননা। বেগম রোকেয়া, সুফিয়া কামাল, কবি নজরুল অগ্নিবীণা সাহিত্য পুরস্কার, রোটারিয়ান পুরস্কার, এস বি এস পি সাহিত্য সন্মাননা, ইঞ্জিনিয়ার খালেক সন্মাননা। কথাসাহিত্যে মাদার তেরেসা এ্যাওয়ার্ড, সাউথ এশিয়া গোল্ডেন পিস এওয়ার্ড, দাদা সাহেব ফালকে এওয়ার্ড (ভারত) সহ আরও অসংখ্য পুরস্কার। এছাড়াও ২০২০ এ পেয়েছেন জলকথা পাণ্ডুলিপি পুরস্কার।তিনি “রুম টু রীড বাংলাদেশের” সিলেক্টেড লেখকদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
তাছাড়া মার্চের ২২ তারিখ তিনি একটি ম্যাগাজিনের “বেগম রোকেয়া শাখাওয়াত হোসেনের” নামকরণে রোল মডেল হয়েছিলেন।
তুলতুল বলেন, প্রতিটি গল্প উপন্যাসে সে একটি করে ম্যাসেজ রাখেন। যাতে হাস্যরসের সাথে সাথে সবাই শিক্ষণীয় বিষয়ও মাথায় রাখতে পারে। তিনি বলেন, সাহিত্য শুধু বিনোদন নয়,শেখার -জানার বিষয়ও হতে হবে।
ফেসবুকের পরিচিতির জায়গায় তিনি লিখেছেন “হতে চাইনা বাড়াবাড়ি, লেখকের মতো লেখক হয়ে হতে চাই সবার আদরের জলপাখি, যে শুধু উড়বে ভালোবাসার আঁকাশে”।
অদম্য আর একটি সুন্দর বাস্তব স্বপ্নের কর্তা হতে চান তিনি জলপাখির মতো। ভালোবাসা পেতে চান সকল মানুষের।