বাংলাদেশিদের জন্য দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ২৭ ফেব্রুয়ারী (সোমবার) মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী, আরও ৪৪ দেশের নাগরিক হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের নাগরিকত্বও অব্যাহত রাখা যাবে। বর্তমানে আমেরিকা ও ইউরোপের ৫৭টি দেশের নাগরিক হলে দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ পান বাংলাদেশিরা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আজকের এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
মো. মাহবুব হোসেন বলেন, বিদ্যমান ৫৭টি দেশের বাইরে বিভিন্ন দেশে গিয়ে সেখানকার নাগরিকত্ব নিয়েছেন, এমন অনেক বাংলাদেশি দেশের নাগরিকত্বও অব্যাহত রাখতে চান। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আরও ৪৪টি দেশ এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এখন এ সুবিধার আওতায় আসছে ১০১টি দেশ। অর্থাৎ এই ১০১টি দেশে নাগরিকত্ব গ্রহণ করা কোনো বাংলাদেশি চাইলে দেশেও নাগরিকত্ব অব্যাহত রাখতে পারবেন।
নতুন ৪৪টি দেশের মধ্যে আফ্রিকা মহাদেশের ১৯টি দেশ রয়েছে। এগুলো হলো মিসর, দক্ষিণ আফ্রিকা, কেনিয়া, আলজেরিয়া, সুদান, মরক্বো, ঘানা, রুয়ান্ডা, বুরুন্ডি, তিউনিসিয়া, সিয়েরা লিওন, লিবিয়া, কঙ্গো, লাইবেরিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, ইরিত্রিয়া, গাম্বিয়া, বতসোয়ানা ও মরিশাস।
তালিকায় উত্তর আমেরিকার ক্যারিবীয় অঞ্চলের ১২টি দেশ আছে নতুন তালিকায়। দেশগুলো হলো কিউবা, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, হাইতি, বাহামা, জামাইকা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, ডমিনিকা, সেন্ট লুসিয়া, বারবাডোজ, সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন, গ্রেনাডা এবং সেন্ট কিটস ও নেভিস।
পাশাপাশি দক্ষিণ আমেরিকার ১২টি দেশ রয়েছে। এর মধ্যে ১১টি দেশ হলো ব্রাজিল, বলিভিয়া, কলম্বিয়া, ভেনিজুয়েলা, সুরিনাম, আর্জেন্টিনা, পেরু, ইকুয়েডর, চিলি, উরুগুয়ে ও গায়ানা। তালিকায় আরেকটি দেশের নাম উল্লেখ নেই।
আর ওশেনিয়া মহাদেশের ফিজিকেও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।