amadermuktokantho
চট্টগ্রামশনিবার , ২৯ এপ্রিল ২০২৩

প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জ এর সাবেক সভাপতি, সাবেক ও বর্তমান মহাসচিব ও এক নির্বাহী-সদস্যের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
এপ্রিল ২৯, ২০২৩ ১১:৪৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জ এর সাবেক সভাপতি ফরিদ আহমেদ, সাবেক ও বর্তমান মহাসচিব সৈয়দ মিরাজুল ইসলাম ও তারই ছোট ভাই নির্বাহী-সদস্য সৈয়দ মুরাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

প্রেসক্লাবেরই একজন নিয়মিত সদস্য দৈনিক আমাদের অর্থনীতি ও ডেইলি আওয়ার টাইম পত্রিকার গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি এবং স্থানীয় দৈনিক দেশকালের কাগজের নির্বাহী সম্পাদক এস এম সাব্বির গত ২৭ এপ্রিল জেলা দূদকের উপ-পরিচালক বরাবরে লিখিত এ অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগের অনুলিপি প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ, দূদক সেগুনবাগিচা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি/মহাসচিব, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক এবং গোপালগঞ্জ পৌরসভার মেয়রসহ জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদেরকে প্রদান করা হয়েছে।

অভিযোগে জানা যায়, প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জ এর সাবেক সভাপতি ফরিদ আহমেদ, সাবেক ও বর্তমান মহাসচিব সৈয়দ মিরাজুল ইসলাম ও তারই ছোট ভাই নির্বাহী-সদস্য সৈয়দ মুরাদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে প্রেসক্লাবের সম্পত্তিকে পৈত্রিক সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করে এসেছেন। প্রায় এক যুগ পর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত প্রেসক্লাবের নির্বাচনে নতুন কমিটি আসার পর থেকে প্রেসক্লাবের দীর্ঘদিনের আয়-ব্যয় ও দোকানাপাটের হিসাব চাইলে তারা তা দেননি। তারা প্রেসক্লাবের গচ্ছিত সকল অর্থ আত্মসাত করেছেন। প্রেসক্লাবের রেজুলেশন-খাতাসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজগপত্রও তারা হস্তান্তর করেননি। বরং তারা ক্ষিপ্ত হয়ে নতুন কমিটির সদস্যদেরকে নানাধরণের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। উল্লেখিত তিন ব্যক্তি প্রায় ২১ বছর ধরে প্রেসক্লাবের সকল দোকানপাট নামমাত্র টাকায় নিজেদের নামে বরাদ্দ নিয়ে ব্যবসায়ীদেরকে ভাড়া দিয়ে নিজেদের পকেট ভাড়ি করেছেন। প্রেসক্লাব বা সাংবাদিকতার উন্নয়নে তারা কোন কাজ করেননি।
অথচ, সাবেক সভাপতি ফরিদ আহমেদের বিরুদ্ধে প্রেসক্লাবের নাম ব্যবহার করে হিন্দুদের জায়গা-জমি দখল, শিক্ষাগত সার্টিফিকেট জালিয়াতী ও প্রতারণাসহ নানাধরণের অভিযোগ রয়েছে। সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের জায়গা দখল করতে গিয়ে তিনি জেলও খেটেছেন। সাবেক ও বর্তমান মহাসচিব সৈয়দ মিরাজুল ইসলাম এবং তার আপন ভাই প্রেসক্লাবের সদস্য সৈয়দ মুরাদুল ইসলাম প্রেসক্লাবের অর্থ আত্মসাথ ছাড়াও সংগঠনের নাম ও পদবী ব্যবহার করে অবৈধপথে অর্থ উপার্জন করে তাদের গ্রামের বাড়ি জেলার মুকসুদপুর উপজেলার গেড়াখোলা গ্রামে আলিশান ডুপলেক্স বাড়ি নির্মাণ করেছেন। গোপালগঞ্জ শহরের ব্যাংকপাড়ায় বহুতল বাড়ি ও গাড়ি করেছেন। সৈয়দ মুরাদুল ইসলামের ব্যাংক এ্যাকাউন্টে কোটি টাকা এবং স্ত্রীর নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ৫০ লাখেরও বেশি টাকা এফডিআর করা রয়েছে। এসব সম্পদের আয়ের উৎস্য নিয়ে সাংবাদিক মহলেও নানা কৌতুহল রয়েছে।

বর্তমানে তারা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটির প্রতিটি কার্যক্রমে চরমভাবে বাঁধা সৃষ্টি করছেন; ফলে ক্লাবের অন্য সদস্যগণ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। তাই ওই তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এ অভিযোগ করা হয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।