বগুড়ার শাজাহানপুরে বিপন্ন প্রজাতির নয়টি সুন্ধি কাছিম উদ্ধার করেছে র্যাব। এ সময় বন্যপ্রাণী চোরাচালান চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে জোব্বার হোটেলের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে কাছিমগুলো উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন-নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার শুকারু রায়ের ছেলে সুবাস চন্দ্র রায় (৩৫), পাথারু রায়ের ছেলে মানিক রায় (২০) ও ফলিরাম রায়ের ছেলে প্রদীপ রায় (৩৫)।
র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার (পুলিশ সুপার) মীর মনির হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাজাহানপুরের ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। এই সময় ঢাকা থেকে আসা নীলফামারীগামী বিপুল পরিবহনের একটি বাসে তিন যাত্রীর আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাস থেকে নয়টি কাছিম উদ্ধার করা হয়েছে। মীর মনির হোসেন আরও বলেন, গ্রেফতার তিনজন বন্যপ্রাণী চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা ফেনী থেকে কাছিমগুলো বিক্রির উদ্দেশ্য নীলফামারী নিয়ে যাচ্ছিলেন। বগুড়ায় উদ্ধার হওয়া এই কাছিম বিপন্ন সুন্ধি প্রজাতির। একসময় দেশের জলাশয়গুলোতে পর্যাপ্ত সুন্ধি কাছিম দেখা যেত। চোরকারবারিদের উৎপাতে বর্তামানে এই প্রজাতির কাছিমগুলো বিলুপ্তির পথে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে মামলা করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের শাজাহানপুর থানা পুলিশের হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।