বাংলাদেশ দূতাবাস, মানামা যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ’ দিবস উদযাপন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর ‘দূত সন্মেলন’ অনুষ্ঠানে যোগদান করতে গত ৬-৭ মার্চ মান্যবর রাষ্ট্রদূত কাতারে অবস্থান করায় আজ স্থানীয় সময় দুপুর ২.৩০ মিনিটে দূতাবাস প্রাঙ্গণে বাহরাইনে নিযুক্ত মান্যবর রাষ্ট্রদূত ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ, উন্মুক্ত আলোচনা এবং ৭ই মার্চ দিবসের উপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
রাষ্ট্রদূত ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধার সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন এবং তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পৃথিবীর কালজয়ী ভাষণগুলোর অন্যতম যা মাত্র ১৮ মিনিটের ভাষণে ধ্বনিত হয়েছিল বাঙালি জাতির মুক্তির মহামন্ত্র। মূলত ৭ মার্চের ভাষণেই নিপীড়িত-নির্যাতিত বাঙালি জাতি খুঁজে পেয়েছিল শোষণমুক্তির কাঙ্ক্ষিত পথ। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে অথনৈতিক সমৃদ্ধি ছাড়াও আর্থ সামাজিক নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উন্নতি সাধন করেছে। মান্যবর রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যের শেষে প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশি সবাইকে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে একযোগে কাজ করার জন্য উদাত্ত আহবান জানান।
পরিশেষে, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের পাশাপাশি বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং প্রবাসী বাংলাদেশীরা এসকল অনুষ্ঠানে যোগ দেন।