amadermuktokantho
চট্টগ্রামশনিবার , ১৮ মার্চ ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভালুকায় ত্যাগ ও জনপ্রিয়তার শীর্ষে ডা: কেবিএম হাদিউজ্জামান সেলিম

বিশেষ প্রতিবেদক
মার্চ ১৮, ২০২৩ ৯:১৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ভালুকায় আওয়ামী রাজনীতির ‘প্রবাদপুরুষ’ খ্যাত বীর মুক্তিযোদ্ধা কে বি এম আসমত আলীর ছেলে ডাঃ কে.বি.এম হাদিউজ্জামান সেলিম তাঁর বাবার দেখানো পথে চলতে চান। তিনি ময়মনসিংহ-১১ ভালুকা আসনেআ‘লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী। আওয়ামীলীগ বিরোধী দলে থাকাকালীন সময়ে তাদের পরিবারটিই সর্বোচ্চ ত্যাগ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। তিনি বর্তমানে এ আসনটিতে শক্তিশালী একজন প্রার্থী।

তাঁর বাবা আসমত আলী জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যান্ত স্নেহধন্য ও আদরের ছিলেন। কে.বি.এম. (খাঁন বাহাদুর মোহাম্মদ) উপাধিটা বঙ্গবন্ধু নিজেই দিয়েছিলেন। তারপর থেকেই তিনি এ এলাকায় কে.বি.এম. আসমত আলী নামে পরিচিতি পায়। দুই দশকের বেশি সময় ধরে ভালুকা সংসদীয় আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে। এ সময় একাধিকবার প্রার্থী বদল করেও বিএনপি আসনটি দখল করতে পারেনি। একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে ভালুকা নির্বাচনী এলাকাটি ময়মনসিংহের ১১ নম্বর আসন।

বর্তমানে ভালুকা আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মোট দশটি সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করেছে পাঁচবার। দুইবার বিএনপি, দুইবার মুসলিম লীগ ও একবার জাতীয় পার্টি নেতৃত্ব দিয়েছে এখানে।ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে এসে বলিষ্ঠ নেতৃত্বগুণের ফলে এই এলাকায় আ‘লীগের রাজনীতির প্রবাদ পুরুষ খেতাবটিও ডাঃ হাদিউজ্জামান সেলিমের পিতার ।

প্রয়াত এই নেতা জনসংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক কর্মতৎপরতার কারণে তিনি এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কাছে কিংবদন্তী। বাবার মৃত্যুর পর উনার দেখানো পথ ধরে মানুষের সেবা করতে ভালুকা আসন থেকে এমপি পদপ্রার্থী হয়েছেন দেশবরেণ্য কিডনীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ কেবিএম হাদিউজ্জামান সেলিম। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক । স্কুল জীবন থেকে ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।

ডাঃ কেবিএম হাদিউজ্জামান সেলিমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘বাবার রাজনীতির ধারায় আমি ১৯৭৮ সালে স্কুল জীবনেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হই। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। ছাত্রলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে (ম.চি.ম.হা) ছাত্র সংসদে জি. এস পদে নির্বাচন করেছি। আমি ভালুকায় ২ যুগের অধিক সময় ধরে প্রতি শুক্রবার চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছি। ব্যক্তিগত উদ্যোগে শতশত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক-সেবিকা-প্যাথলজিস্টদের সমন্বয়ে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে প্রায় ৪০–৫০ হাজার মানুষকে বিনামূল্যে বিভিন্ন পরীক্ষা- নিরীক্ষাসহ চিকিৎসা সেবা দিয়েছি যা ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে। ভালুকায় চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কারণে ভালুকার প্রায় প্রতিটি পরিবারের সাথে আমার প্রাণের সখ্যতা গড়ে উঠেছে’।

ডাঃ কেবিএম সেলিম আরও বলেন,‘আমার বাবা কেবিএম আছমত আলী ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা, ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন,১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, ১৯৬৬ সালে ৬ দফা, ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুথান, ১৯৭০ সালে নির্বাচন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ সহ সকল আন্দোলনে ভালুকা থানা ও ময়মনসিংহ জেলায় আ’লীগের নেতৃত্ব দিয়ে বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত আদরের স্নেহধন্য ব্যক্তি হয়ে উঠেন। তিনি ১৯৫৫ সালে ভালুকা থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ১৯৬৫ সালে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের ১০ ই মার্চ ভালুকা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে থেকে ভালুকায় এক বিশাল জনসভারমঞ্চে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা সর্বপ্রথম উত্তোলন করেন আমার বাবা কেবিএম আছমত আলী । ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে ঘাতকদের হাতে শহীদ হয়েছেন এই খবর শুনে বাবা নির্বাক হয়ে যান। আমার বাবা বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য ব্যক্তি হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয় সাথে আমার বড় চাচা আহাম্মদ আলী সরকারকে গ্রেফতার করা হলো। ভালুকায় টর্চারসেল বানিয়ে উনাদেরএকটানা ১১ দিন পর্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করা হয়। সে সময় বাবা জেলে থাকা অবস্থায় আমার দাদী প্রচন্ডভাবে ভেঙ্গে পড়েন এবং মৃত্যুবরণ করেন । আমার বাবা ১৯৪৮ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত আ‘ লীগের দীর্ঘ কঠিন দুঃসময়কালে সকল ঝুঁকি নিজের মাথায় নিয়ে বিভিন্ন সময়ে ভালুকা থানা আ’লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকালে বার বার জেল-জুলুম ও সীমাহীন নির্যাতনের শিকার হন। আমার বাবার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন এবং আমার ব্যক্তিগত সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক ধারাবাহিকতা ও মানব সেবার বৈশিষ্ট্যের কারণে ভালুকার লাখ লাখ জনতার যে আস্থা ও বিশ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে তা সব সময় দৃশ্যমান। আমি দীর্ঘদিন যাবত ভালুকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ, উঠান বৈঠক সহ বিশাল বিশাল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সকল উন্নয়ন কার্যক্রম ও নৌকার পক্ষে প্রচার- প্রচারণা চালিয়ে লৌহকঠিন জনমত সৃষ্টি করার লক্ষ্যে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি।

ভালুকার লাখ লাখ জনতার প্রানের দাবী ও আস্থা দীর্ঘ দিনের পরীক্ষিত রাজনীতির পথ পরিক্রমায় পারিবারিক ঐতিহ্যগত ত্যাগ-তিতীক্ষা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পরিচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্যের গুণাবলী ও সততায় জনপ্রিয়তার শীর্ষমাত্রায় থাকা এ মানব সেবককে ভালুকার অভিভাবক হিসেবে চায় ভালুকাবাসী।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।