ভালুকা উপজেলার কৈয়াদী মৌজার এসএ (আরওআর) রেকর্ডীয় জমি সরকার কর্তৃক বনবিভাগের নামে গেজেট অন্তর্ভূক্তিকরণ ও বনবিভাগের লোকজন কর্তৃক সাধারণ মানুষকে হয়রানির প্রতিবাদে শুক্রবার (৩০ জুন) দুপুরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কৈয়াদী গ্রামের সোনাউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ওই কর্মসূচি পালন করে গ্রামবাসী। এতে বক্তব্য রাখেন- সুপ্রীম কোর্টের এ্যাটর্নী জেনারেল শাহ মো. আশরাফুল হক জর্জ, জাপা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এম এ মান্নান মোশাহেদ, উথুরা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম ডেপুটি ম্যানেজার (মেঘনা গ্রুপ) উথুরা ইউনিয়ন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি এম এ আজহারুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ শুগুর মাহমুদ আনিসুর রহমান( আব: পুলিশ), রবিউল আলম, দেওয়ান রফিক, সায়হাম কবির, স্বপন মিয়া, নাজমুল হক তারা, মনিরুজ্জামান, মিন্টু মিয়া ও এম এ কাদের সিদ্দিক প্রমুখ।
প্রতিবাদ সভায় গ্রামবাসী দাবি করে, সেটেলমেন্ট রেকর্ড হওয়ার পূর্বকাল হতে পুরুষানুক্রমে তারা ৫ হাজারের অধিক প্রজা সাধারণ ছোট বড় ৫ থেকে ৬শ টি বাড়ি-ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছেন। গ্রামবাসী জানায়, তাদের গ্রামে মোট জমির পরিমান ১ হাজার ৫২০ একর, প্রজাদের নামে রেকর্ড ৪২৩ একর, জমিদারের কবুলিয়াত ও পত্তনমূলে প্রজা সাধারনের নামে এসএ রেকর্ড ১ হজার ৯৭ দশমিক ২৪ একর। এদিকে প্রজা সাধারনের নামে পত্তন না থাকায় কালেক্টর বাহাদুরের নামে এসএ ৩৯ দশমিক ৪০ একর যাহা কতক অংশ ভূমিহীন প্রজাদের মাঝে বৈধ কাগজপত্র মূলে বিতরণ করা হয়। সম্প্রতি উথুরা রেঞ্জের বন কর্মকর্তা কৈয়াদী গ্রামে এসে বাড়িঘর জায়গা জমির বিবরণ খাতায় তালিকাভুক্ত করেন এবং বনের দাবিকৃত জমি ছাড়িয়া দিতে হবে নতুবা বাড়িঘর ভাঙচুর ও মামলার দিবে বলে হুমকি দেয়া হয়। ইতোমধ্যে সেখানে বিভিন্ন জাতের উটলট সুফলা বৃক্ষের বনায়ন তান্ডব শুরু করেছে। বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের তৎপরতায় গ্রামবাসী তাদের যুগ যুগ ধরে ভোগ দখলীয় ভূসম্পদ ও বাড়িঘর হতে উচ্ছেদ আতঙ্ক ও হুমকির মুখে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে গ্রামবাসী।