ময়মনসিংহের ভালুকায় অভিনব কৌশলে বাড়িতে নিয়ে শাহিনুর খাতুন(৪৫) নামে এক মহিলাকে মধ্যযুগী কায়দায় নির্যাতনের পর মহিলার কাছ থেকে জোর পূর্বক ডিভোর্স পেপারে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মোঃ সজিব(৪৫) নামে এক ব্যাক্তির উপর
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শাহিনুর খাতুনের মেয়ে মোছাঃ শিমু আক্তার(২৩) বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শাহিনুর খাতুনের স্বামী মারা যাওয়ার পর ৭/৮ মাস পূর্বে উথুরা ইউনিয়নের বনগাঁও এলাকার আ.বারেক মিয়ার ছেলে মোঃ সজিব(৪৫) বিয়ে করেন। পরে বিয়ের বিষয়টি সজিবের পরিবারের সদস্যরা মেনে না নিলে তার স্ত্রী শাহিনুর খাতুনকে বাসা ভাড়া করে অন্যত্র রাখেন। এ ঘটনার পর বিভিন্ন সময় শাহিনুর ও সজিবের সংসারে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হলে এক পর্যায়ে ০৭ সেপ্টেম্বর রাতে সজিব তার স্ত্রী শাহিনুর খাতুনকে তার পরিবার মেনে নেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বাড়িতে এনে মোঃ সজিব, মোঃ জসিম, ওয়াসিম আকরাম, মোছা কণা, আঃ মজিদ, আঃ বারেক, মো শহিদুল্লাহ শাহিনুর খাতুনকে সজিবের বাড়িতে দড়ি দিয়ে হাত ও পা বেধে দেশীয় অস্ত্র বাশ, রড় দিয়ে সারারাত নির্যাতন চালিয়ে হত্যার হুমকি প্রদান করে। পরে পরদিন ০৮ সেপ্টেম্বর সকালে শাহিনুর খাতুন তার স্বামী মোঃ সজিবকে কাজীর মাধ্যমে স্বেচ্ছায় তালাক দিতে বাধ্য করে বাড়ি থেকে বের করে দিলে স্থানীয়রা আহত শাহিনুর খাতুনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ভালুকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
উক্ত ঘটনায় স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, মো: সজীবের বোন মোছাঃ কণা বাংলাদেশ পুলিশে চাকরি করার সুবাধে সজিব ও তার পরিবারের সদস্যরা এলাকার মানুষদের বিভিন্ন সময় নানান বিষয় নিয়ে ভয়-ভীতি প্রদান করেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্তরা বিষয়টি অস্বীকার করেন।
ভালুকা মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান অভিযোগ পেয়েছি ঘটনার তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।