ফটিকছড়ি ভূজপুরের বাসীন্দা প্রবাসী মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। দীর্ঘদিন ধরে থাকছেন প্রবাসে। প্রবাসে কষ্টের উপার্জিত অর্থে দেশে করেছেন নিজের স্বপ্নের বাড়ি আর কিনেছেন জায়গা-জমি। তবে এ সব কিছুই হয়ে উঠেছে এখন তার জন্য দুশ্চিন্তার কারণ। গত ২বছর ধরে তিনি পারছেন না জায়গার খাজনা দিতে, জমি বিক্রি বা ক্রয় করতে কিংবা নামজারি করতে। তার শুধু একটিই কারণ ভূমি অফিসের অনলাইনে তার প্রোপ্রাইলে দেয়া ফোন নাম্বারটি এখন আর সচল নেই। মোবাইল কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করেও নাম্বারটি আর সচল করা সম্ভব হচ্ছেনা।
ওয়েবসাইটে পূর্বের নাম্বারটি যদি কোন কারণে বন্ধ হয়ে যায় বা হারিয়ে যায় তা ওয়েবাসাইটে বাদ দিয়ে সেখানে নতুন আরেকটি নাম্বার যোগ করার সুযোগ নেই। ফলে দীর্ঘ দু’বছর প্রবাসী হেলাল ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন একইসাথে জায়গা জমির খাজনা কিংবা ক্রয় বিক্রয় না নামজারিও করতে পারছেন না।
জানা যায়- ভূমিসেবার ওয়েবসাইটে পূর্বে ওটিপির জন্য নাম্বার পরিবর্তন করার সুযোগ ছিল। তবে কয়েকমাস ধরে তা বন্ধ রয়েছে এতে করে সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এ কারণে পূর্বে ব্যক্তি যদি কোন ফোন নাম্বার দিয়ে ভূমিসেবার ওয়েবসাইটে কোন কাজ করে থাকে তাহলে থাকলে সেক্ষেত্রে সে নাম্বার যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে নতুন করে তার স্তজানে নতুন নাম্বার দিয়ে কার্যক্রম চালানো যাচ্ছেনা। কারণ ভূমিসেবা নেয়ার পূর্বে পুরানো ওই ফোন নাম্বারটিতে একটি ওটিপি যাবে যার মাধ্যমে কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে।
ভুক্তভোগী প্রবাসী হেলাল উদ্দিন বলেন- আমি একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা। দেশের জন্য প্রবাসে বসে অবদান রাখছি কিন্তু দীর্ঘদিন আমি কোন ভূমিসেবা নিতে পারছিনা। তিনি বলেন- গত ২বছর আগে 01838393019 নাম্বার দিয়ে খাজনা সহ বিভিন্ন কাজ করেছি। কিন্তু আমি প্রবাসে আসার পর নাম্বারটি বন্ধ হয়ে যায়। সিম কোম্পানির সাথে অনেক যোগাযোগ করলে তারাও নাম্বারটি দিতে পারেনি। এ নিয়ে আমি ইউএনও অফিসে অভিযোগও দিয়েছি। কিন্তু কোন সমাধান পায়নি। বর্তমানে আমি জমি নামজারি -খাজনা কিছুই দিতে পারছিনা। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান যেন সরকার করে দেন। সামান্য একটি ফোন নাম্বার পরিবর্তন করা নিয়ে এভাবে চরম ভোগান্তি মেনে নেয়া যায়না।
ফটিকছড়ি উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে একাধিক কর্মরত ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়- বর্তমানে ভূমি সেবা ওয়েবসাইটটির কাজ চলছে। আশা করা যায় নতুন নাম্বার দেয়ার সুযোগটি দ্রুত আবারও যুক্ত করা হবে।