amadermuktokantho
চট্টগ্রামরবিবার , ৫ জানুয়ারি ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ময়মনসিংহে ইউপি সদস্যের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪

অনলাইন ডেস্ক
জানুয়ারি ৫, ২০২৫ ১২:৫৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

লক্ষ্মীপুরের একটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আরিফুর রহমান (৪৬) হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ময়মনসিংহের তারাকান্দা থেকে গত বুধবার তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজন হত্যার দায় স্বীকার করে গতকাল শুক্রবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মো. রকিবুল আক্তার।

আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়া চার আসামি হলেন আশিকুর রহমান (৩৫), রাহাত হোসেন (২৫), মো. পরশ চৌধুরী (২৯) ও মো. এহতেশামুল হক (২৫)। গতকাল শুক্রবার ময়মনসিংহ সদরের দাপুনিয়া খেজুরতলা মোড় এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার দুপুরে দাপুনিয়া এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে আশিকুর মাদারীপুরের শিবচর থানার কুতুবপুর গ্রামের মো. সোলায়মানের ছেলে, রাহাত ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের কুমারগাতি গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে, পরশ রংপুর সদরের গণেশপুর গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেন চৌধুরীর ছেলে এবং এহতেশামুল তারাকান্দার রূপচন্দ্রপুর গ্রামের এমদাদুল হকের ছেলে। একই সঙ্গে অপরাধে ব্যবহৃত হাইয়েস গাড়িটিও জব্দ করা হয়।

গত বুধবার সকালে তারাকান্দার পিঠাসুতা এলাকা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পিবিআই আঙুলের ছাপ মিলিয়ে দেখে নিহত ব্যক্তির নাম আরিফুর রহমান। তিনি লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের লামচরী গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির স্ত্রী আয়শা আক্তার গত বৃহস্পতিবার তারাকান্দা থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলাটির তদন্তে নামে পিবিআই। তদন্তে চার আসামি গ্রেপ্তার হওয়ার পর গতকাল বিকেলে ময়মনসিংহ আদালতে আনা হলে তাঁরা ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠান।

পুলিশ জানায়, আরিফুর রায়পুরের ৬ নম্বর কেরোয়া ইউপির সদস্য ও ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্যও ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মিরপুর এলাকায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করছিলেন আরিফুর।

পুলিশ সুপার মো. রকিবুল আক্তার বলেন, মিরপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করেন পরশ চৌধুরী। তিনি মিরপুর বাঙলা কলেজের ছাত্র ছিলেন। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোশাকের শোরুমে চাকরির সুবাদে কিছুদিন ময়মনসিংহেও ছিলেন। ৫ আগস্টের পর আরিফুরকে এলাকায় নতুন আগত দেখে তাঁর বিষয়ে খোঁজ শুরু করেন পরশ। এক নারীকে দিয়ে মুঠোফোনে ফাঁদ সৃষ্টি করা হয়। গত ২৫ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ শহরে এসে পূর্বপরিচিত অন্যদের নিয়ে ঢাকায় যান। ৩১ ডিসেম্বর নারীকে দিয়ে মুঠোফোনে মিরপুর-১ নম্বর এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে ডেকে নেন আরিফুরকে। নিজেদের প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে সেখান থেকে একটি হাইয়েস গাড়িতে তুলে নেন আরিফুরকে। গাড়িটি নিয়ে দলটি ময়মনসিংহের দিকে রওনা দেয়। পথে আরিফুরের স্ত্রীর মুঠোফোনে ১০ হাজার টাকা বিকাশে পাঠানোর জন্য আশিকুরের একটি নম্বর দেওয়া হয়। মুঠোফোনের সেই নম্বরের সূত্রধরে পিবিআই পুরো চক্রটিকে আটক করে।

পুলিশ সুপার বলেন, গাজীপুর এলাকায় গাড়িটি জ্যামে আটকা পড়লে নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টা করেন আরিফুর। ওই সময় তাঁকে মারধর ও গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাস রোধ করার চেষ্টা করা হয়। ওই অবস্থায় আরিফুরের মৃত্যু হলে তারাকান্দা এলাকায় রাস্তার পাশে ফেলে যায়।

পুলিশ সুপার মো. রকিবুল আক্তার বলেন, ‘চক্রটির উদ্দেশ্য ছিল জিম্মি করে টাকা আদায়ের। কয়েক দিনের মধ্যে আরিফুরের সৌদি আরবে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই তাদের ফাঁদে পড়ে। এ ঘটনায় আরও কয়েকজনের সম্পৃক্ততার তথ্য আমরা পেয়েছি। তাদেরও আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।