মুন্সীগঞ্জে জেলা পর্যায়ে এইচ আই ভি ভাইরাস এইডস্ বিষয়ক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা সিভিল সার্জন অফিসের কনফারেন্স রুমে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে দশটায় এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
লাইফ স্টাইল, জেলা এডুকেশন এন্ড প্রমোশন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের আয়োজনে এবং জেলা সিভিল সার্জন অফিসের বাস্তবায়নে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত কর্মশালায় সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার ডা. জসিম উদ্দিন ভুইয়ার সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার ডা. সোহাগ হাসান, সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিন এবং এইচ আই ভি এইডস্ এর আসক্ত পূনর্বাসন সংস্থার মুন্সীগঞ্জ জেলার আউটলেট ম্যানেজার আল আমিন খান।
এই কর্মশালায় আরো অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিল শেখ খাইরুল ইসলাম, ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিল মোঃ স্বপন হোসেন, ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড মহিলা কাউন্সিল পারভীন আক্তার এবং ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড মহিলা কাউন্সিল রুমা বেগম।
এছাড়া মুন্সীগঞ্জ শহর জামে মসজিদ সহ জেলার বিভিন্ন মসজিদের ইমামগণ এবং সংবাদিকগণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন। উক্ত কর্মশালায় এইচ আই ভি ভাইরাস এইডস্ এর ক্ষতিকারক দিকগুলো তুলে ধরা হয়। এই ভাইরাসজনিত রোগটি নারী-পুরুষের অবাধ মিলনের কারণে, রক্তের প্রয়োজনে একজনের রক্ত অন্যজন ব্যবহার করলে তার যদি সে রোগ থাকে তাহলে, বাবা-মায়ের এ রোগ থাকলে তাদের সন্তানের ক্ষেত্রে, এবং সুচের মাধ্যমে শরীরে ড্রাগ প্রবেশের করার কারণেও এরোগ হতে পারে।
তবে হাঁচিকাশি মাধ্যমে, মশার কামড়ে, একত্রে খাবার খেলে ও ঘুমালে এবং চলাফেরা করলেও এরোগ একজন থেকে অন্যজনে ছড়ায় না।
এইচ আই ভি ভাইরাস এমন একটি রোগ যা প্রথমে ধরা পড়েনা বা বোঝা যায়না। আস্তে আস্তে দেখা যায় রোগীর ওজন কমে যাচ্ছে, খাওয়া দাওয়ার অসুবিধা হচ্ছে। এরপর আস্তে আস্তে রোগী নিস্তেজ হয়ে পড়ে। বিশ্বে এই রোগের এখন পর্যন্ত কোনো সঠিক চিকিৎসা বা ভ্যাকসিন এখনও আবিস্কৃত হয়নি। তাই আমাদের সচেতন থাকতে হবে যাতে এ রোগ থেকে আমরা নিরাপদ থাকতে পারি।
মুন্সীগঞ্জ জেলায় এই পর্যন্ত ১৩৯ এইচ আই ভি ভাইরাস এইডস আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে মৃত্যুর খবর এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। কর্মশালায় বলা হয়, সমাজের বিভিন্ন পেশার লোকদের এই ভাইরাস জনিত রোগ সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। মসজিদের ইমামগণ প্রতি শুক্রবার নামাজের সময় এই রোগ সম্পর্কে জনগণকে জানাতে এবং সচেতন করতে হবে। এরপর পৌর কাউন্সিলরগণ নিজ নিজ এলাকার লোকদের এই রোগ সম্পর্কে ধারণা ও তথ্য দিয়ে তাদের সচেতন করতে হবে এবং সাংবাদিকগণ মিডিয়া ও প্রিন্টিং এর মাধ্যমে এই রোগের ক্ষতিকারক দিক ও তথ্য তুলেধরে এর থেকে পরিত্রান সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে। উক্ত কর্মশালায় এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।