মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেস রোডের কেসি রোডে সংঘটিত দুর্ধর্ষ ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে মুন্সিগঞ্জ জেলা পুলিশ। সোমবার মুন্সিগঞ্জ জেলা পুলিশের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল মামুন বিপিএম পিপিএম।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, গত ১৭ই মে আনুমানিক রাত তিনটার দিকে আমেরিকা প্রবাসী শাহেদ রেজা কামাল মাওয়া ঘাটে খাওয়া-দাওয়া শেষে ফেরার পথে সিরাজদিখান এর ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসের পাশে অজ্ঞাতনামা ১০- ১২ জন ডাকাত দলের কবলে পড়েন।
ডাকাত দল এসময় দুইটি আইফোন সহ তিনটি মোবাইল, নগদ ৬৫০০০ টাকা, একটি স্বর্ণের চেইন ও একটি গ্রিন কার্ড লুট করে নেয়।
প্রবাসী শাহীন রেজা কামাল পরদিন সিরাজদিখান থানায় মামলা দায়ের করেন ।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে মুন্সিগঞ্জ জেলার গোয়েন্দা গোয়েন্দা শাখা ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে ডাকাতদের শনাক্ত করেন এবং ১৮ ই জুন কেরানিগঞ্জ থেকে মূল পরিকল্পনাকারীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মূল পরিকল্পনাকারী(১) কামাল পাহোলান (৪৩), (২) হানিফ ওরফে রহমান (৩৫),(৩) শাহ আলম মুন্সি (৩১), (৪) শহিদুল ইসলাম ওরফে সাইফুল (৩৩) সর্ব সাং -জেলা পটুয়াখালী।
গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতেরা ঘটনা সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে এবং স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্যদের বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
গত ২৫ শে জুন অপর আসামিবৃন্দ (৫) আবু তালেব খান (৩৬), জেলা – বরগুনা (৬) এনামুল হক( ৩৪) জেলা বরগুনা কে ঢাকার কদমতলী থেকে এবং এলাকা থেকে (৭) জাহিদুল ইসলাম সাগর (২৮) জেলা- নোয়াখালী কে কেরানীগঞ্জ থেকে এবং (৮) মো. আলমগীর সিপাহী (৪৫) জেলা – বরিশালকে পুরান ঢাকার ইসলামপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদের কাছ থেকে বাদি শাহিন রেজা কামালের লুন্ঠিত গ্রীন কার্ড এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত রামদা, পিকআপ গাছ কাটা করাত এবং হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়।
পলাতক আসামিদের ইতিমধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান। গ্রেফতারকৃত সকলেই পেশাদার ডাকাত দলের সদস্য এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা রয়েছে বলে জানা যায় প্রেস ব্রিফিংয়ে।