নাজমুল হোসেন শান্তই ঘুরিয়ে দিলেন ম্যাচের মোমেন্টাম। আয়ারল্যান্ডের হাতের ম্যাচ নিয়ে এলেন নিজেদের কব্জায়। তার ৯৩ বলে ১১৭ রানের ইনিংসে ৩২০ রানের লক্ষ্য টপকে গেলো বাংলাদেশ। টাইগারদের জয় ৩ উইকেট আর ৩ বল হাতে রেখে।
বড় রানের লক্ষ্য, প্রতি ওভারে করতে হবে গড়ে প্রায় ৭ রান। বাংলাদেশ দল প্রথম ধাক্কাটা খেল শুরুতেই। ১৩ বলে ৭ রান করে প্যাভিলিয়নে তামিম ইকবাল। প্রথম ওয়ানডেতে শূন্য রানে আউট হওয়া লিটন দাশ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে করলেন ২১ বলে ২১ রান। ৪০ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে সফররতরা।
তারপরই অবশ্য ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ দল। আরও নির্দিষ্টি করে বললেন শান্ত এবং সাকিবের আল হাসানের ব্যাটেই ম্যাচে ফেরার আভাস দিয়েছিল টাইগাররা। তবে সাকিব ২৭ বলে ২৬ রান করলে ফিরলে ভাঙ্গে দুজনের ৬১ রানের জুটি। তবে শান্ত ঠিকই তুলে নিয়েছেন তার অভিষেক সেঞ্চুরি। মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ৩৬ রান। বাংলাদেশের হয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৮ বলে ৬৮ রান করেছেন তাওহীদ হৃদয়।
লক্ষ্য কঠিন হলেও তামিমের বিশ্বাস ছিল, বাংলাদেশ পারবে। এর জন্য মাঠের মাপ ও উইকেট সহায়ক ছিল মনে করেন তিনি। আর ইংল্যান্ডে সমর্থকদের সমর্থন তো ছিল অবিশ্বাস্য।
চেমসফোর্ডে ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের অধিনায়ক বললেন, ‘সমর্থন ছিল অবিশ্বাস্য। বিশেষ করে আমরা ইংল্যান্ডে এলে এমন সমর্থন পেয়ে থাকি। আমার মনে পড়ে ২০১৭ সালে আমাদের দর্শকরা ইংল্যান্ডকে পরাস্ত করেছিল। এটা বিশেষ।’
বড় লক্ষ্য পেলেও ইতিবাচক ছিলেন তামিম, ‘মাঠের মাপ ও উইকেটের কারণে, আমাদের মনে হয়েছিল এই রান তাড়া করার মতো। এই গ্রাউন্ডে আপনার বাউন্ডারির জন্য সবসময় তাকিয়ে থাকতে হয় না, তারা আপনাআপনি চলে আসে।’
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে হ্যারি টেক্টরের ১৪০ রানের ইনিংসে বাংলাদেশকে ৩২০ রানের টার্গেট দেয় আয়ারল্যান্ড। জর্জ ডকরেল করেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৪ রান। বাংলাদেশের হয়ে দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন দুই পেসার শরীফুল ইসলাম এবংব হাসান মাহমুদ। বৃষ্টির কারণে ৪৫ ওভারে নেমেব এসেছিল ম্যাচ।