সংবাদ প্রচারের জেরে সাংবাদিক জাহিদ হাসান মিশুকে হত্যার চেষ্টা এবং প্রকাশ্যে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ও গ্রেফতারের দাবিতে আজ রবিবার সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
গত ১৯ শে জানুয়ারি ২০২৩ ইং রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানাধীন জাতীয় অর্থপেডিক পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার নুর মোহাম্মদের দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে দৈনিক সরেজমিন বার্তা পত্রিকায় নুর মোহাম্মদ সহ আটজন ব্যক্তির অভিযোগে প্রতারণা করার সংবাদ প্রচার করা হয়।
সংবাদটি প্রচার করায় দৈনিক সরেজমিন বার্তা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার জাহিদ হাসান মিশুকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠে। শুধু তাই নয় ১৩ই মার্চ ২০২৩ ইং সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিটে শেরে বাংলা নগর থানাধীন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে জাতীয় অর্থোপেডিক পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার নূর মোহাম্মদ তার সন্ত্রাস দালাল সিন্ডিকেট দ্বারা সাংবাদিক জাহিদ হাসান মিশুর উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।
এবং সাংবাদিক জাহিদ হাসান মিশুকে বেধরক পেটানো হয় ও তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। প্রধান হামলা কারী ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর শেরে বাংলা নগর থানাধীন ২৭ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত ১ নং গণভবন ইউনিট আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসিনা বেগম। হাসিনার সাথে ছিল তার ভাই সন্ত্রাস দালাল বাবু সহ আরো অনেকেই উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাহিদ হাসান মিশু শেরে বাংলা নগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শেরেবাংলা নগর থানার এস আই আনোয়ার সরেজমিনে তদন্ত করতে ঘটনা স্থানে যায়। সুষ্ঠু তদন্তের নামে জাহিদ হাসান মিশুর সাথে করা হয় প্রতারণা, সেখানে অপরাধীদের দোষী সাব্যস্ত না করে উক্ত ঘটনাকে সেখানেই তারা ধামাচাপা দেয়। এ বিষয়ে কিছুদিন যেতে না যেতেই শেরে বাংলা নগর থানাধীন জাতীয় অর্থোপেডিক পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার নুর মোহাম্মাদ জনসম্মুখে বলেন আমার বিরুদ্ধে যে সাংবাদিক নিউজ করেছিল আমি সেই সাংবাদিক কে আমার সন্ত্রাস দালাল বাহিনী দিয়ে মেরে ফেলার জন্য আক্রমণ করেছিলাম, তাতে সে বেচে ফিরে কিন্তু এবার সেই সাংবাদিক কে আসছে কোরবানি ঈদের আগেই মেরে ফেলবো।
মানববন্ধনে জাহিদ হাসান মিশু বলেন,
ঘটনাটি তৎক্ষণাৎ সকল গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, এ বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক জাহিদ হাসান মিশু শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ উৎপল কুমার বড়ুয়ার কাছে ২১/০৬/২৩ইং গিয়ে সমস্ত ঘটনা খুলে বলেন তৎক্ষণাৎ অফিসার ইনচার্জ মহোদয় প্রাণ নাশের হুমকির জিডি করেন এবং তদন্তের জন্য এসআই আখতারুজ্জামানকে দায়িত্ব তদন্তভার দেয়ার পরেও পুলিশের পক্ষ থেকে দায়িত্বশীল আচরণ লক্ষ্য করা যায় নি। প্রশ্ন জাগে, হামলাকারী ও হত্যার হুমকিদাতার খুঁটির জোর কোথায়! পুলিশ কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না! কারণ কি!পুলিশের এমন নিরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললে অপরাধ হবে না নিশ্চই! হামলার পরে অভিযোগও আমলে নেয়নি পুলিশ। অভিযোগ আমলে নিলে হত্যার হুমকি দেয়ার সুযোগ পেত না।
হত্যার হুমকির পরে আবারো জিডি করা হয়েছে। তবুও পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করছে। নুর মোহাম্মদের ক্যাডার বাহিনী আমার বাসার চারপাশে ঘোরাঘুরি করছে। বলছে- ঈদের আগেই মেরে ফেলবে। আমার কিছু হলে শের-ই-বাংলানগর থানার ওসি দায়ী থাকবে।