প্রতারক সাইফুল ইসলাম ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানা,৭নং ওয়ার্ড আউটবাড়িয়া এলাকার পিতাঃ মোহাম্মদ লাল মিয়ার পুত্র, সৌদি প্রবাসী সাইফুল ইসলাম ও একই জেলার ভালুকা থানার ৩নং ওয়ার্ড ধীতপুর ইউনিয়নের টুংড়া পাড়া পিতাঃ মোঃ গোলাপ হোসেন,মাতাঃ আম্বিয়া খাতুনের পুত্র সৌদি প্রবাসী আসাদ মিয়ার বিরুদ্ধে ৯ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। প্রতারক সাইফুল ইসলাম সৌদি আরবের রিয়াদ শহরে আলবাথা, আল সেমাইছি নামক স্থানে একটি মসজিদে দীর্ঘদিন যাবৎ ইমামতি করেন।এটি তার সৌদি ইকামা নাম্বার ২২৬৫৩৪৪৫৬০। ইমামতির পাশাপাশি সাইফুল বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবের ভিসা দিবে বলে গ্রাম বাংলাদেশ থেকে লোক নিয়ে যায়। এবং তাদের থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ভিসা বাণিজ্য করে থাকেন।
ভুক্তভূগী চট্টগ্রামের হাটহাজারীর সন্তান মোঃ শাহজাহান প্রতিবেদককে জানান,প্রতারক সাইফুল এবং আসাদের কথামতো আমার ভিসা বাবদ ৯লক্ষ টাকা বিভিন্ন ধাপে তাদেরকে আমি পরিশোধ করি।যার ডকুমেন্টস আমার কাছে আছে। ১ম ধাপে ব্যাংকে ৫,২৮,০০০টাকা, ২য় ধাপে বিকাশে ৪২,৯০০টাকা -এবং ৩য় ধাপে ৫০০০০টাকা-হাতে হাতে প্রদান করেন বলে জানান ভুক্তভূগী শাহজাহান।
তিনি আরো বলেন,আমি সৌদি আরব যাওয়ার পরে আরো ১লক্ষ টাকা সাইফুলের হাতে একামা বাবদ খরচ প্রদান করি।কিন্তু সাইফুল আমার সাথে প্রতারণা করে,কথা আর কাজে মিল না পেয়ে আমি সৌদি প্রবাসে ক্ষুদার্ত দিশেহারা অবস্থায় দিন যাপন করি। সাইফুল আমার সব টাকা আত্মসাৎ করে। প্রতারক সাইফুল আমার আকামা বা ভিসা করে দেয়ার কথা থাকলে করে দেয়নি এবং কোন রকম চাকরি দেননি।পরবর্তীতে আমি দেশে এসে রাষ্ট্রীয় আইনকে শ্রদ্ধা রেখে আমি এই প্রতারণার বিষয়ে,হাটহাজারী থানায় মামলা দায়ের করি।
তাছাড়া,প্রতারক সাইফুলের সহযোগী আসাদ মিয়া সৌদি আরবে আমাকে নানা ভাবে হয়রানির স্বীকার করে।আমি বর্তমানে নানা বেকায়দায় পড়ে সৌদি থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে হয়েছে।এবং আমি আইনি প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা চেয়ে দেশে রাষ্ট্রীয় আইন মেনে তাদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জর্জ কোর্ট ফৌজদারি দণ্ডবিধি ৪০৬/৪২০/৫০৬ ধারা মামলা করি।
ভুক্তভোগী আরো বলেন,আমি অসহায় হয়ে সাইফুলের কাছে টাকা চাইলে প্রতারক সাইফুল আমাকে মুঠোফোনে থানা পুলিশ ও র্যাবের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন রকম হুমকি দেন। তাই আমি ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারি নি।
পরে মামলা দায়ের সুত্রে জানা যায়,তারা ২জনই ভিসা বাণিজ্য করার জন্য বাংলাদেশ থেকে চাকুরী দিবে বলে লোকজন থেকে ৮থেকে ৯লক্ষ পর্যন্ত টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠে।এইসব কালো অর্থ দিয়ে প্রতারক সাইফুল ও আসাদের নিজ এলাকায় ভবন নির্মাণ,কয়েকটি কার ও মাইক্রো গাড়িসহ অনেক জমি-জমার মালিক বনেজান।যা স্ত্রী,পুত্র, সন্তানের নামে ক্রয়সুত্রে দলিলায়িত করেন।
হাটহাজারী মডেল থানার এস আই আসাদুজ্জামানের তত্বাবধানে মামলা কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।