ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের সূর্য সন্তান,২’য় যুদ্ধের বীর,শহীদ কামরোজ্জামানের কবরে বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ ও বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। বিকালে লন্ডন থেকে আইন অঙ্গণের এক তথ্য অনুযায়ী তাৎক্ষণিক শহীদ কামরুজ্জামানের বাড়িতে উপস্থিত হন গফরগাঁও উপজেলা বিএনপি সাবেক আহ্বায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত নাজমুল হকের সুযোগ্য পুত্র নাজমুল হক ফাউন্ডেশনের কর্নধার নাদিমুল হক।
এ সময় শহীদ কামরুজ্জামানের কবরের পাশে তার রুহের মাগফেরাত এর জন্য দোয়া করা হয়,দোয়া পরিচালনা করেন হেফাজতে ইসলাম গফরগাঁও শাখার অন্যতম নেতা হাফেজ, মাওলানা আনোয়ার আল আসাদী সাহেব।
শহীদ কামরুজ্জামানের বৃদ্ধ নানা সবার উপস্থিতি তে কান্নায় ভেঙে পড়েন,তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন,আন্দোলনরত অবস্থায় ৪ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনার তৎকালীন আজ্ঞাবহ পুলিশলীগ শহীদ কামরুজ্জামানের মাথায় ও বুকে ৬ রাউন্ড গুলি করে হত্যা করে তারপর লাশ রাস্তায় ফেলে রাখা হয়। এই বীর সন্তানের রক্তে ঢাকার রাস্তা রঞ্জিত হয়েছে।
তখনো কামরুজ্জামানের পরিবার এই বিষয়ে জানতে পারেনি!কামরুজ্জামানকে ঢাকার বিভিন্ন হসপিটালে,অলিতে গলিতে খোঁজা হয় কিন্তু কোথাও কামরুজ্জামানের সন্ধান পাওয়া যায়নি। অতঃপর আগষ্টের ১৯ তারিখ ঢাকা মেডিকেলের ফ্রিজ থেকে কামরুজ্জামানের লাশ সনাক্ত করা হয়।এ বিষয়ে শহীদ কামরুজ্জামানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নাদিমুল হক বলেন,
শহীদ কামরুজ্জামান গফরগাঁওয়ের অহংকার,
আমাদের গফরগাঁওয়ে জন্ম নেয়া এক জাতীয় বীর।আবু সাঈদ, মুগ্ধ,কামরুজ্জামান এদের রক্তের বিনিময়ে দাঁড়িয়ে ইতিহাসের সবচেয়ে নিকৃষ্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন হয়েছে এবং আমরা আবার স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ নিতে পারেছি। এবং শহীদ কামরুজ্জামানের পরিবারকে বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কামরুজ্জামানের বীরত্বের কথা সমগ্র বাংলাদেশে তুলে ধরার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি আরো জানান,
কোন এক অজানা কারণে শহীদ কামরুজ্জামানের পরিবারের সদস্যরা একটু ভয় প্রকাশ করেছে, এ বিষয়ে আমাদের চরআগলীর আরেক কৃতি সন্তান, ৯০ এর আন্দোলনের অন্যতম ছাত্র সংগঠক,অবিভক্ত গফরগাঁও উপজেলা ছাত্রদলের সফল সভাপতি, বর্তমান উপজেলা বিএনপির প্রভাবশালী নেতা, ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাফিজ আল আসাদ ভাইকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কামরুজ্জামানের পরিবারের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেয়া ও খোঁজ খবর রাখার।