প্রতি বছরই বিশ্বের সকল সেরা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন ইনস্টিটিউট, হাসপাতাল, কোম্পানি ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে সেরাদের তালিকা প্রকাশ করে ‘আলফার-ডগার সাইন্টিফিক ইনডেক্স’ (AD Scientific Index) নামে একটি সংস্থা। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সম্প্রতি AD Scientific Index এর প্রকাশিত হয়েছে ২০২৪ সালে বিশ্বের সকল সেরা প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে তালিকা। যেখানে তালিকাভুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের বেশকিছু স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের নাম। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং সাইন্স এন্ড টেকনোলজি ( MIST), ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ (ণীটেড়), Army IBA সহ ICDDR, BRRI, BJRI এর মতো সনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলো।
র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ইন্সটিটিউটগুলোর মধ্যে প্রথম স্থানে আছে International Centre for Diarrhoeal Disease Research, Bangladesh (ICDDRB) ; যা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ৩০৬ তম, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে Bangladesh Rice Research Institute (BRRI) ; যার বিশ্ব র্যাঙ্কিং ১২১৪ তম, তৃতীয় Bangladesh Atomic Energy Commission (BAEC) ; যার অবস্থান বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ১৩৮৩ তম,
এছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কথা বিবেচনা করলে বাংলাদেশের সকল ইনস্টিটিউট গুলোর মধ্যে ৬ষ্ঠ এবং সারা বিশ্বে ১৮১০ তম স্থান সহ আঞ্চলিক তথা এশিয়ার বিবেচনায় ৪৮৩ তম স্থানে রয়েছে Military Institute of Science & Technology (MIST), এই র্যাঙ্কিং-এ ইন্সটিটিউটের মধ্যে ঢাকার সাভারে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চ, নিটার এর অবস্থান বাংলাদেশে ১৭ তম এবং এশিয়া মহাদেশের মধ্যে ৬৪৪ তম।
উল্লেখ্য বস্ত্র ও শিল্পখাতে অনন্য মাত্রা স্থাপন করা নিটার বাংলাদেশের একমাত্র পাবলিক – প্রাইভেট পার্টনারশিপ এ ২০০৯ সাল থেকে চলমান একটি ইনস্টিটিউট, যেখানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ফ্যাশন ডিজাইন এন্ড এপেরাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেক্সটাইল এপেরাল ভ্যালু চেইন এর উপর স্নাতকত্তর ডিগ্রি চালু আছে।
বস্ত্রশিল্পকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষার সুযোগের পাশাপাশি রয়েছে উন্নতমানের গবেষণাগার যা গবেষণার কাজে অত্যন্ত সহায়ক। প্রতিবছর একাধিক শিক্ষার্থী এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বের নামকরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেদের ছাপ রেখেছে নিটারিয়ানরা। এছাড়া বাংলাদেশের স্বনামধন্য ইন্ডাস্ট্রিতেও নিজেদের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছেন নিটারিয়ানরা।