শুধু দেখে যাই আবহে সুখের লগন রশি
সুখ-সন্ধানী, বীতরাগে খুশি অনঢ় অসি
নক্তে কভু ঘর্মাক্ত কান্নার সুরটা দেখিনি
উৎসুক সকলি মেরামতে মত্ত সুখবেনি।
ধাত্রীর মায়া,টাকার তারল্যে যে একশ্রেণী
নারীতে মত্ত তারা আড্ডা-মস্তিতে অনুরতি
লড়াই বড়াই দম্ফ জম্ফে পাতে নাশফনি
বিসদৃশ সবজগৎ তুলে ফণা স্বত্ব জোরনীতি।
আমি শিশু জোর নাই,করি কান্না এই বেলায়
অন্ন বসন কে করিবে, মা মৃত বাবা মৃতপ্রায়
রুক্ষ মুখটায় হাসি ফলাতে পথটা কে দেখায়?
অন্যায় কি! পাপটা কি তবে শিশু বলে এ ধরায়?
এদিন আসিবে কেমনে আজও রয় তা ভাবনায়
সকলের মত দিয়াছি গোসল মমতাময়ীর জিম্মায়
হাতে স্কুল ব্যাগ,পকেটে কড়ি,মনটা বিবশ চিন্তায়
আপন রুটিনে ছুটিয়াছি আমি কত অজপাড়াগাঁয়।
ছিলনা কভু হারানোর ভয়,চিন্তার বিষম সম ছাপ
হাটি হাটি পায়ে বন্ধু সমাবেশ করেছি মেঠোপথটায়।
মা-বাবা নাই বলে বয়সটা উঠিয়াছে চল্লিশে তাই?
না হলে কেনো অসমর্থ ঘাড়ে নিভে তুলে এত দায়?
ভদ্রজনে প্রশ্নটার আমি ঠিক ঠিক জওয়াব চাই?
ভিক্ষার ঝুলিতে পিতার পথ্যে কেন আমি রাস্তায়?
মা হারিয়ে সোনামুখী শিশু বলি একালের নির্মমতায়
লাথি কিল ওষ্টায় অতিষ্ঠ আমি তবু্ও কড়ি কুড়াই
জানি শখের শার্ট-প্যান্ট- জুতো জুটিবে না এ গাঁয়
জুটলেও যে এই গ্রহে শিশুটার দেখানোর কেউ নাই
উপরি করুনায় মেকী ভাব নিয়ে খুজিলি তো অন্যায়
হিংস্র -পশুর রাষ্ট্রযন্ত্র জালে কেন অভাগার ঠাঁই নাই?
বিজ্ঞ বলে লাভ কি?তেল না পেলে তেলবাজি কেন?
বিলাপে বলি ঘুরে যা রোড ঘাট স্টেশনে যত কাঁমড়া?
খালি গায়ে কেউ তালিমারা কেউ কেউবা ছন্নছাড়া
আধমরা কেউ রোগে শোকে কেউ কেউবা জীবিকায়
এসব দেখে বলবি কি তোরা করার তো কিছু নাই?
সোনার দেশে ডোনার বেশে মেরে যা সব টোকাই।
লেখক: জুয়েল রানা
শিক্ষার্থী: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।