এলাকার সবচেয়ে কুখ্যাত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন হলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাসেম পল্লব। দুর্নীতির অভিযোগ সত্ত্বেও, পল্লব সব সময় আইন বহির্ভূতভাবে কাজ করে আসছেন। তার প্রভাব এতটাই বেশি যে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় নি। তিনি তার অনুসারীদের মাধ্যমে এলাকায় চাঁদাবাজি, নির্যাতন ও হয়রানিমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি এলাকাবাসীকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আরেকজন প্রভাবশালী স্থানীয় ব্যক্তিত্বের নেতৃত্বে গাউস উদ্দিন সমান ভাবে এলাকায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। গাউসের দলের সদস্যরা স্থানীয় সংসদ সদস্যের সমর্থন পায় বলে অভিযোগ রয়েছে। তার দলের সদস্যরা স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। তার দলের জয়নাল, দেলোয়ার, জুয়েল এবং এনামুল এই হয়রানি এবং ভীতি প্রদর্শনের ঘটনার জন্য এলাকায় কুখ্যাত।
পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে যে, স্থানীয় কর্মকর্তারাও স্বীকার করেছেন যে, তারা এই চাপের সামনে অসহায়। বিয়ানীবাজারের অনেক বাসিন্দা এখন ভয়ের মধ্যে বসবাস করছেন, তাদের জীবিকা ও নিরাপত্তা বিপন্ন। স্থানীয় ব্যবসাগুলোও এসব দুস্কৃতিকারীদের কারণে উল্লেখযোগ্য ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এই হয়রানিমূলক পরিবেশের কারণে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা।
বিয়ানীবাজারে পল্লব ও গাউসের অনুসারীদের নির্যাতন ও হয়রানির ঘটনা এই অঞ্চলের রাজনৈতিক দুর্নীতি ও আইনহীনতার গভীর সমস্যা প্রকাশ করছে। ভুক্তভোগীদের অনুরোধ সত্ত্বেও, পল্লব ও গাউসের অনুসারীদের কার্যক্রম বন্ধ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, যা বাসিন্দাদের হতাশ করেছে ও আরও হামলার শিকার হওয়ার আশংকা বাড়িয়ে দিয়েছে।