চট্টগ্রাম ফটিকছড়িতে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন)’র আয়োজনে প্রতি বছরের ন্যায় শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য আবির্ভাব তিথি এবং গৌর পূর্ণিমা উদযাপিত হয়েছে।
২৫ মার্চ (সোমবার) ফটিকছড়ি পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ নামহট্ট মন্দিরে ও অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়।
অনুষ্ঠানের কর্মসূচির মধ্যে ২৪শে মার্চ শ্রীমন মহাপ্রভুর শুভ অধিবাস, ২৫শে মার্চ চন্দ্রোদয় পর্যন্ত নির্জলা উপবাস ও সারাদিন কীর্তন মেলা এবং ২৬শে মার্চ জগন্নাথ মিশ্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিপুলসংখ্যক ভক্তের সমাগম হয় । গৌর পূর্ণিমা উপলক্ষে ফটিকছড়ি ইসকন মন্দিরের সভাপতি সিদ্ধ রসিক দাস ব্রহ্মচারী ও সাধারণ সম্পাদক দূর্জয় দেওয়ানজী সকলকে হরে কৃষ্ণ প্রীতি ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।মন্দিরের সভাপতি সিদ্ধসিক দাস ব্রহ্মচারী ব্যক্ত করেন চৈতন্য মহাপ্রভু হচ্ছেন স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ। তিনি একমাত্র হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র সংকীর্তনের মাধ্যমে কিভাবে ভগবানের কাছে ফিরে যাওয়া যায় তা জড়জগতের মানুষকে শিক্ষা দিয়ে গেছেন।
হরের্নাম হরের্নাম হরের্নামৈব কেবলম্।
কলৌ নাস্ত্যেব নাস্ত্যেব নাস্ত্যেব গতিরন্যথা॥
অর্থাৎ কেবলমাত্র হরিনাম, কেবলমাত্র হরিনাম, কেবলমাত্র হরিনাম কীর্তনই কলিযুগের মানুষের একমাত্র পথ। এ ছাড়া অন্য কোন গতি বা উপায় নেই, নেই, নেই। মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক দূর্জয় দেওয়ানজী বলেন- হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র সংকীর্তন আন্দোলনের প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য মহাপ্রভু আজকের এই তিথিতে পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার অন্তর্গত নবদ্বীপে হিন্দু ব্রাহ্মণ পণ্ডিত শ্রীজগন্নাথমিশ্র ও শ্রীমতী শচীদেবীর গৃহে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কলিবদ্ধ জীবের উদ্ধারের জন্য কলিযুগপাবনাবতারী শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভু গোলকের প্রেমধন হরিনাম সংকীর্তন-
হরেকৃষ্ণ হরেকৃষ্ণ কৃষ্ণকৃষ্ণ হরেহরে
হরেরাম হরেরাম রামরাম হরেহরে
এই মহামন্ত্র প্রদান করেছেন এবং কলিযুগ সমস্ত দোষের আকর। কিন্তু এই কলিযুগে একটি মাত্র মহান গুণ রয়েছে। তা হল কেবল মাত্র শ্রীকৃষ্ণের নাম কীর্তন করে,জীব সংসার বন্ধন মুক্ত হয়ে ভগবানকে লাভ করতে পারে। তিনি আরো বলেন- শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর ভবিষ্যৎবাণী পৃথিবীতে আছে যত নগরাদি গ্রাম সর্বত্র প্রচার হবে মোর হরিনাম এই ভবিষ্যৎ বাণীটি ইসকনের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীল প্রভুপাদ মাধ্যমে আজ সারা পৃথিবীতে প্রচার হচ্ছে। উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মুক্তিদাতা বলভদ্র দাস, রসরাজ কৃষ্ণ দাস, কলি বিঘ্ননাশন দাস, সর্বগৌর দাস, শুভম কৃষ্ণ দাস, তেজস্বী রঘুনাথ দাস, সেগুন দেবনাথ, বাসু বণিক, প্রাণনাথ শচী কুমার দাস ও অন্যান্য ভক্তবৃন্দ।