amadermuktokantho
চট্টগ্রামরবিবার , ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বশেফমুবিপ্রবিতে ফাইনাল ইয়ারে র‍্যাগিং, হাসপাতালে ভর্তি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী!

বশেফমুবিপ্রবি প্রতিনিধি::
সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩ ১০:১০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেফমুবিপ্রবি) গনিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীকে র‌্যাগিং এর অভিযোগ উঠেছে ফিশারিজ বিভাগের একই বর্ষের ছয় শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।

সোমবার (২৮ আগষ্ট) এই বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শায়লা সাদিকা বুলিং ও র‍্যাগিং প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক মৌসুমী আক্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।

অভিযুক্তরা হলেন, ফিশারিজ বিভাগের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের চতুর্থ বর্ষের ফাতেমা বিনতে হোসাইন নিশি,মোস্তাফিজুর রহমান মুরাদ, তাহরিন তাসমিয়া সিদ্দিকি হৃদী, মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম, ফারহানুল হক প্রান্ত, হাবিবুর রহমান অন্তর।

এই বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শায়লা সাদিকা বলেন, আমি নুরুন্নাহার বেগম হলে যে রুমে থাকি সেই রুমে নিশি আপুও থাকেন যার কারণে আমার ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে মাঝে মাঝেই রুমে আমি কান্না করতাম। বিষয়টি অনেকভাবে জানতে চাইলে পরবর্তীতে আপুকে আমি আমার অতীত এবং ব্যক্তিগত বিষয় শেয়ার করি এরপর রুমে এবং হলে কিছু হলেই আপু আমার গোপনীয় বিষয়টাকে পুজি করে আমাকে মানসিকভাবে অত্যাচার এবং বিষয়টি সবার কাছে জানিয়ে দেওয়ার ভয়-ভীতি এবং হুমকি দিত।

এরপর গত ২৭ আগস্ট সন্ধায় আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে ফিশারিজ বিভাগের ৪র্থ বর্ষের নিশি, হৃদি, খাইরুল, প্রান্ত, মুরাদ ও অন্তর ভাই মিলে ছাত্রী হলের অভন্তরীণ বিষয় নিয়ে মানষিক নিযাতন ও অপদস্থ করে। পরবর্তী দিন ২৮ তারিখের পরীক্ষা সম্পর্কে অবগত ছিলেন তবুও আমার সাথে এমন করেছে। এই ঘটনায় আমি মানসিকভাবে বিপর্যয়ের সমুখীন হয়ে শ্বাসকষ্ট ও জ্ঞান হারিয়ে ফেলি পরে ২৮ তারিখ সকালে জামালপুর সদর হাপাতালে ভর্তি হই এবং তখন থেকেই আমার শরীরের বাম পাশ অবশ হয়ে ছিলো যা এখনো কিছুটা আছে। ঐ দিন জামালপুর সদর হাসপাতালে থাকা অবস্থায় আমার অবস্থা আরো খারাপ হওয়ায় চিকিৎসক আমাকে ১২ টি ইঞ্জেকশন দেয় এবং অন্যন্য চিকিৎসা সেবা দেয়। শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে থাকায় আমি আমার পরীক্ষাটিও দিতে পারিনি। পরবর্তীতে বুলিং ও র‍্যাগিং প্রতিরোধ কমিটির বরাবর অভিযোগ দেই।

অভিযোগ দেওয়া এবং র‍্যাগিং শিকার হওয়ার বিষয়টি কে বা কারা আমার বাসায় জানিয়ে দেয়। এটা জানার পর আমার পরিবার এখন লেখাপড়া করাতে চাচ্ছে না যার ফলে আমার লেখাপড়া এখন বন্ধের পথে। র‍্যাগিং এর এই বিষাক্ত ছোঁয়া আমার স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করে দিয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আরো বলেন, আমার লেখাপড়ার শেষ পর্যায়ে এসে রাগিং শিকার হয়েছি। যা আমার প্রত্যাশার বাইরে তাই এমন একটা শাস্তি দাবি করছি যে শাস্তি দিলে আমার সাথে যেমনটি করা হয়েছে ভবিষ্যতে যেন কোন শিক্ষার্থীর সাথে এমন না করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বুলিং ও র‍্যাগিং প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক ফিশারিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মৌসুমী আক্তারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা তদন্ত শুরু করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা কথা বলতে রাজি হয়নি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।