পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপন ও খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত গাউছুল আজম (রাদি.) স্মরণে (১৪ অক্টোবর) শনিবার বাদে আসর হতে নগরীর উত্তর পতেঙ্গা কাঠগর বাজারস্থ কে স্কয়ার-২ কনভেনশন সেন্টারে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে এশায়াত মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংগঠনের মহানগর সমন্বয় পরিষদের সচিব আলহাজ্ব মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক মুহাম্মদ ফোরকান মিয়া। এতে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, নাজিরহাট বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের উপাধ্যক্ষ মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী,গুলতাজ মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ অলি আহাদ,আলহাজ্ব মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, আলহাজ্ব মুহাম্মদ হাসান, আলহাজ্ব মুহাম্মদ মাহবুব আলম প্রমুখ।
মাহফিলে বক্তারা বলেন,বর্তমান সময়ে মানুষ হেদায়তের পথ ভুলে গোমরাহিতে লিপ্ত। দুনিয়ার মোহ মানুষকে আল্লাহর স্মরণ থেকে দূরে সরিয়ে রাখে, রাসুলুল্লাহ (দ.) এঁর অনুসরণ থেকে পদস্খলন করে দেয়। অথচ ইহকাল হলো আখিরাতের সম্বল জোগাড় করার সর্বোত্তম জায়গা। দুনিয়ার জীবনকে সঠিক উপায়ে কাজে লাগিয়ে আখিরাতের মহাসাফল্য লাভের জন্যে প্রয়োজন তাওয়াজ্জুহ বিশিষ্ট তরিক্বত। খলিফায়ে রাসূল হযরত গাউছুল আজম (রাদি.) এঁর প্রতিষ্ঠিত তরিক্বতের মাধ্যমে মানুষ তাওয়াজ্জুহ গ্রহণ করে আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধি লাভ করতে পারে। খলিফায়ে রাসূল হযরত গাউছুল আজম (রাদি.) সারাটি জীবন ধরে নিজেকে দ্বীন ইসলামের খেদমতে উৎসর্গ করেছেন, শরীয়ত ও তরিক্বতের উভয় ইলম অর্জন করে হেদায়তের লক্ষ্যে সমাজে তা বিস্তার করেছেন। আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের অন্যতম মাধ্যম এই তরিক্বত। বর্তমানেও এই তরিক্বতে হেদায়তের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। খলিফায়ে রাসূল হযরত গাউছুল আজম (রাদি.) এঁর একমাত্র খলিফা মাননীয় মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী সকল দায়িত্ব সুনিপুণ ভাবে আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন। লাখো মানুষের হৃদয়ে নবীপ্রেমের মশাল জ্বালিয়ে সিরাতুল মোস্তাকিমের দিকে পরিচালিত করেছেন। কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে জীবন গঠন করে দুনিয়া ও আখিরাতে মহাসাফল্য লাভের দ্বার উন্মোচন করেছেন।
পরিশেষে দেশ-জাতির উন্নতি-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনায় মিলাদ-কিয়াম শেষে মোনাজাত করা হয়।