একদফা আন্দোলনে গত ৪ আগষ্ট মিরপুরে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী শহীদ মো. ইকরামুল হক সাজিদ সশরীরে পরীক্ষায় উপস্থিত না হলেও তার আসন বরাদ্দ রেখেছিল তার বিভাগ। সাজিদের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের এমবিএ’ র প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু হয়েছে আজ রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) । একদম প্রথম বেঞ্চেই পরীক্ষার হলে তার জন্য ফুল ও জাতীয় পতাকা দিয়ে তার আসন বরাদ্দ রাখা হয়। ফুলের তোড়ায় লিখা ছিল শহীদ মো.ইকরামুল হক সাজিদ, লিখা ছিল রোল ব্যাচ ও সেকশন, তার পাশেই রাখা ছিল তার জন্য পরীক্ষার খাতা, দেখে মনে হবে যেন কেউ আসবে। কারো আগমনের জন্য অপেক্ষা করছেন বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা কিন্তু আর কখনোই সাজিদ ফিরবে না বন্ধু ও শিক্ষকদের মাঝে। রোববার ১০ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত বিভাগের ৩১৫ নাম্বার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় পরীক্ষা, যেখানে পুরোটা সময় না থেকেও ছিল সাজিদ।
তার এক সহপাঠী রায়হান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেন একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস ডিপার্টমেন্টের এমবিএর ফার্স্ট সেমিস্টার শুরু হলো আজ। বিবিএর শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সব প্রিপারেশন কম বেশ একসাথেই নেওয়া হয়েছিল সাজিদের সাথে। ইকরামুল হক সাজিদ আজকে না থেকেও আমাদের সাথেই ছিল এক গুচ্ছ ফুল হয়ে আমরা বিশ্বাস করি।
প্রসঙ্গত, এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গত ৪ আগষ্ট মিরপুরে আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে ১০ দিন চিকিৎসা শেষে গত ১৪ আগষ্ট মারা যান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং বিভাগের ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী ইকরামুল হক সাজিদ। পরবর্তীতে গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে দাফন করা হয় তাকে। এ শিক্ষার্থীকে হত্যার দায়ে ইতোমধ্যে ৭৩ জনকে আসামি করে কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেছে তার পরিবার।