amadermuktokantho
চট্টগ্রামবৃহস্পতিবার , ৭ মার্চ ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জবি মনোবিজ্ঞান বিভাগে প্রথমবার রিসার্চ পোস্টার প্রেজেন্টেশনের আয়োজন

জবি প্রতিনিধি
মার্চ ৭, ২০২৪ ১:২২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মনোবিজ্ঞান বিভাগে প্রথম বারের মতো সায়েন্টিফিক পোস্টার প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে শেষ হলো ১৪তম ব্যাচের স্নাতক পরীক্ষা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকদের উদ্যোগে এ আয়োজন সম্পন্ন হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ৪ দিন ব্যাপী এই পোস্টার প্রেজেন্টেশনে বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আকরাম উজ্জমান,ড. সামসাদ আফরিন হিমি,ড. অশোক কুমার সাহা সহ ডিপার্টমেন্ট এর সিনিয়র শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পোস্টার প্রেজেন্টেশন ছাত্র-ছাত্রীদের ভিন্ন দক্ষতা এবং স্কিল ডেভলপমেন্টের জন্য একটি মৌলিক প্রক্রিয়া, যা তাদের ব্যক্তিগত উন্নয়ন এবং সামাজিক উন্নতি করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি তাদের মৌলিক বিষয়বস্তু ধারণার উন্নতি, মতামত প্রদান, ক্রিয়াশীলতা এবং নেতৃত্বের দক্ষতা উন্নত করে এবং তাদের ব্যক্তিগত এবং পেশাগত উন্নয়নের পথে উন্নতি করে। নতুন যুগের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রথমবারের মতো বিভাগের পক্ষ থেকে এই আয়োজন করা হয়।

মনোবিজ্ঞান বিভাগের ১৪তম আবর্তনের সুমাইয়ার কাছে তার অঅনুভূতি জানতে চাইলে জানায়,”বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটা স্থান যেখানে জানার শেষ নেই, শিখার শেষ নেই। অনার্স ৪র্থ বর্ষের চুড়ান্ত সেমিস্টারে এক নতুন অভিজ্ঞতা হলো। প্রথম বারের মত আমাদের ডিপার্টমেন্ট মনোবিজ্ঞান বিভাগ আয়োজিত হলো”পোস্টার প্রেজেন্টেশন”এই প্রেজেন্টেশন আমরা আমাদের গবেষণা কাজের একটি সারসংক্ষেপ উপস্থান করেছি। এটি ছিল আমাদের জন্য নতুন এক অভিজ্ঞতা সাথে চ্যালেঞ্জ ও বটে। কত সুন্দর উপারে আমরা আমাদের গবেষণাকে উপস্থাপন করতে পারি এটিই ছিল মুখ্য বিষয়। প্রথমেই ধন্যবাদ দিব আমাদের বিভাগীয় চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আকরাম উজ্জমান স্যার কে যার প্রচেষ্টায় এত সুন্দর একটি কার্জক্রম আয়োজিত হয়েছে। পাশাপাশি পোস্টার এর বিষয়বস্তু নির্বাচনে সার্বিক সহায়তা করেছেন আমার প্রজেক্ট সুপারভাইজার ড. রাজেকা ফেরদৌস তানি ম্যাম। পোস্টার মেকিং, ফরম্যাটিং ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ড. সামসাদ আফরিন হিমি ম্যাম ,যিনি সবসময় আমাদের মনিটরিং করেছেন। সকলের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা। সবকিছু মিলিয়ে খুবই দারুন ছিল আমার অভিজ্ঞতা।”

১৪তম আবর্তনের আরেক শিক্ষার্থী সম্প্রীতি রায় বলেন ” পোস্টার প্রেজেন্টেশন আমাদের জন্য অনেক নতুন একটা কনসেপ্ট ছিলো।তথ্যগুলোকে ছোট করে সাজানোর জন্য খুব সহজেই পোস্টার দেখলেই সব বোঝা যাচ্ছিলো।পোস্টার প্রেজেন্টেশনের জন্য আইডিয়া ডেভেলপ হচ্ছে।সবার নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে এটা কাজ করছে।তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে সবাই নতুন কিছু শিখতে পারছে, এবং বাস্তব জীবনেও প্রয়োগ করতে পারছে।রিসার্চের কাজগুলো খুব সহজেই এটার মাধ্যমে দেখানো হয়ে থাকে।আমি মনে করি,এই কাজের পরিসর আরো বাড়ানো উচিৎ, ১ম বর্ষ থেকেই শিক্ষার্থীদেরকে এই কাজে অনুপ্রেরণা দেওয়া উচিৎ। কিন্তু পোস্টারের খরচটা ‘বাজেট ফ্রেন্ডলি’ ছিলো না একদমই।আর যে ধরনের কাগজ দিয়ে পোস্টার বানানো উচিৎ সেটার প্রাপ্যতাও কম ছিলো।”

এ বিষয়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আকরাম উজ্জামান বলেন, দেশ ও বিদেশে গবেষণা কাজে পোস্টার প্রেজেন্টেশন অনেটা বাধ্যতামূলক। আমাদের অ্যালামনাইদের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের প্রজেক্টের ভাইভা পোস্টার প্রেজেন্টেশন এর মাধ্যমে নিয়েছি। এবছর থেকে মাস্টার্সের নন থিসিস শিক্ষার্থীদের পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন হবে, যাতে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নিজেদের যোগ্য হিসেবে আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রমাণ করতে পারে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।