মুগ্ধ নাম বর্তমান সমাজে সবচেয়ে তৃষ্ণাত্ব পিপাসা মেটানোর নাম। যে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মুগ্ধ পিপাসা থাকা মানুষকে পান দিচ্ছিলো। আর বলে ছিলো ‘পানি লাগবে পানি’।
মুগ্ধ হয়তো তার সহযোদ্ধাদের শিখিয়ে যেতে পারেনি। পিপাসা কাতর থাকা মৃত্যু পথ যাত্রীকে পানি দিতে হয়।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য। মাসুদ আর এই পৃথিবীতে নেই , ০৭/০৯/২০২৪ইং শারীরিকভাবে অক্ষম মাসুদকে আবারও নির্মমভাবে পিটিয়েছে শিবির হাসপাতালে মারা গেছেন।
মাসুদ গত ৩ সেপ্টেম্বর কন্যা সন্তানের জনক হয়েছেন, তার বড় পরিচয় ছিলো বাবা। কোন সন্তান তার বাবা মৃত্যু মানতে পারবে না। মাসুদ ফেসবুক পোস্ট করেন বলেন আলহাম্মদুলিল্লাহ আমি কন্যা সন্তানের বাবা হয়েছি। রাতে রাজশাহীর বিনোদপুর বাজার থেকে ওষুধ আর বাচ্চা দুধ কিনে ফেরার পথে তার উপর হামলা হয়। ছাত্র সমন্বয়ক ( শিবির ) সালাউদ্দিন আম্মান, সমন্বয়ক এবং শিবিরের নেতা (সাথী) মাসুদ যদি অপরাধী হয়ে থাকে তবে আইনের হাতে তুলে দাওয়া উচিৎ ছিলো।
বাংলাদেশ সকল মিডিয়া চুপ বাক্ স্বাধীনতা যুগে কেন চুপ আপনাদের সাংবাদিকদের কন্ঠ। একজন স্ত্রী তার সন্তান পাঁচ দিনের সন্তানকে এই প্রজন্ম তরুনরা কি শান্তনা দেবে ? কে নেবে হত্যার দায়? আইন কি ব্যবস্থা নেবে ?
হয় কোন বিচার হবে না। আইনের কতটা দূর্বল হলে অত্যাচারে ভিডিও করে সেটা গনমাধ্যমে ছাড়া হয়। নৃশংসতা যাদের ভেতরে থাকে, তাদের ভেতরে থাকে না বোধ। একটা বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হবার পরে তার পাশে একজন বাবার উপস্থিতি কতটা অপরিহার্য সেটা একজন বাবাই জানেন। চিরকালের বাবার স্নেহ থেকে সদ্য পৃথিবীতে আসা নবজাতক বঞ্চিত হলো। এই মধ্যমানবতা যুগে এসে ও নির্যাতনের মাধ্যমে নির্মম ভাবে হত্যা করা হলো। মৃত্যু আগে সে অনেক বার পানি চেয়েছিলো, কিন্ত মুগ্ধের সহ কর্মীরা তাকে পানি দেয়নি। আমরা জাতি হিসাবে কতটা নির্লজ্জ যে একটা মৃত্যুপথযাত্রী ব্যক্তিকে পানি দেয়নি।