একজন মানুষ তাঁর শৈশব, যৌবন থেকে শুরু করে কতটা আত্মত্যাগ করতে পারে সুদীর্ঘকাল ধরে নিপীড়িত-নিষ্পেষিত-নির্যাতিত বাঙালিদের স্বাধীন সূর্যের আলোয় উদ্ভাসিত করার জন্য, স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য, তা জানা যায় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাঙালি জাতির মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী অধ্যায়ন করে। বাংলার মানুষের সুষ্ঠুভাবে অধিকার আদায়ের জন্য জন্ম থেকে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়াই-সংগ্রাম করে গেছেন তিনি। নিজের পরিবার, পরিজন সবকিছু ছেড়ে তাঁর একমাত্র ধ্যান-জ্ঞ্যান ছিলো সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
বঙ্গবন্ধু বহুবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও বিন্দুমাত্র পিছপা হননি, তিনি বিখ্যাত মনিষী বার্ট্রান্ড রাসেলের ৩ টি মূল্যবান কথা হৃদয়ে ধারণ করতেন, ১.ভালোবাসা ২.জ্ঞ্যানের অনুসন্ধান করা এবং ৩.মানব কল্যাণের জন্য ত্যাগ করা।
সবসময় এটিও ধারণ করতেন যে, চরম মূল্য ছাড়া স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব না। বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের সবার অসহনীয় ত্যাগ আমাদেরকে বরাবরই বিমুগ্ধ করে, বিশেষ করে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অসাধারণ সূক্ষ্ম অনুধাবন, সময়োপযোগী কাজ এবং অসীম সাহসের ফলাফল আজকের বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ। বঙ্গমাতার প্রতি হৃদয়ের গভীর থেকে বিনম্র শ্রদ্ধা।
আমরা বঙ্গবন্ধুকে দেখিনি, তাঁর কৃত কর্মযজ্ঞ জেনেছি বই পড়ে এবং মুরুব্বিদের কাছ থেকে শুনে শুনে। তবে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দেখছি। বঙ্গবন্ধু প্রায়ই বলতেন, “হাসু, তুই তো আমাকেও ছাড়িয়ে যাবি”। হ্যাঁ, আমার মনে হয় সত্যিই অনেকক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন আমাদের শেখ হাসিনা। স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের পর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলো সফল ও সার্থকভাবে সমাপ্ত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পর একটি আধুনিক এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে যাচ্ছে, বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ। কৃতজ্ঞতা রেখে শুধু বলতে চাই এই বাংলার প্রতিটি ঘাসে, প্রতিটি ধূলিকণাতে, বাংলার সমস্ত স্থান জুড়েই বঙ্গবন্ধু রবে, বঙ্গবন্ধু ছিলো, বঙ্গবন্ধু থাকবে।
“যতদিন রবে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা বহমান-ততদিন রবে কৃতি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।” আর এখন দৃঢ়চিত্তে বলতে চাই,”যতদিন রবে শেখ হাসিনার হাতে দেশ,পথ হারাবেনা বাংলাদেশ।”
অবশেষে বাংলাদেশ সরকার এবং ভারত সরকারকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শ্রদ্ধা জানাই ঐতিহাসিক এই “মুজিব: একটি জাতির রূপকার” মুভিটি নির্মাণের জন্য।
মোদ্দাকথা এই যে, শুধুমাত্র তিন ঘন্টার মুভিতে বঙ্গবন্ধুর সার্বিক জীবন প্রণালী ফুটিয়ে তোলা সম্ভব নয়। আগামীর প্রজন্মকে জানাতে এবং নিখুঁতভাবে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার প্রত্যয়ে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা এবং শেখ হাসিনাকে নিয়ে শত সিরিজ নির্মাণ করা এখন সময়ের দাবী।
আশাকরি এখন থেকে সবার অন্তরচক্ষু খুলে যাবে…
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
জয়তু দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
লেখকঃ মো.সাইদুল ইসলাম সাঈদ
কর্মী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।