amadermuktokantho
চট্টগ্রামরবিবার , ২৪ নভেম্বর ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ফটিকছড়িতে নামাজ পড়ে হয়ে বাড়ি ফেরার পথে মুসল্লীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ!

মুক্তকণ্ঠ রিপোর্ট
নভেম্বর ২৪, ২০২৪ ৯:৩৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি পৌরসভায় মো. ইউনুস প্রকাশ (প্রকাশ: দুদু মিয়া) (৬১) নামের এক নামাজী বৃদ্ধকে নামাজ পড়ে ফেরার পথে। মাথায় গুরুত্বর জখম করে করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মো. করিম (৪৪) নামে এক দুস্কৃতকারী যুবকের বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালের নামাজের পর পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ডের আব্দুর রহমান টেন্ডলের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত বৃদ্ধকে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ইউনুস ওই এলাকার মৃত মতিউর রহমানের ছেলে। অপরদিকে, অভিযুক্ত করিম একই এলাকার মৃত নুরুল হকের ছেলে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার দিন ইউনুস সকালের নামাজ পড়ে বের হয়ে বাড়ি ফিরছিল। এমন সময় করিম তাকে দেশীয় অস্ত্রদিয়ে উপর্যপুরী মাথায় আঘাত করেন। বৃদ্ধার আর্থচিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে করিম পালিয়ে যায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বৃদ্ধকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় সেখান থেকে চমেকে পাঠানো হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, করিম সবসময় সবার সাথে কোন না কোন ঝামেলায় জড়ায়। সে বিভিন্ন সময় মেয়ে নিয়ে এসে বাড়িতে তার বউ বলে পরিচয় দেয়। নেশা করে সবাইকে অত্যন্ত খারাপ ভাষায় গালাগাল করেন। মূলত একই বাড়িতে দুই সমাজ হওয়ায় এসব অপকর্ম করে সে বারবার পাড় পেয়ে যায়। অন্যদিকে, এসব অপরাধ কাণ্ড ঘটিয়ে তার বউকে বাদি বানিয়ে বাড়ির লোকজনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিও করেন।
আব্দুর রহমান টেন্ডল বাড়ি একতা সংঘের সাধারণ সম্পাদক মো: মামুন বলেন- করিম একজন সন্ত্রাসী। সে তার নিজের মায়ের উপর একাধিকবার নির্যাতন চালিয়েছে৷ এছাড়াও এখন পর্যন্ত করিম ৪-৫জন মেয়েকে তার বউ বলে ঘরে রেখেছিল। এগুলো কেউ দমাতে পারেনি। এভাবে একটা সমাজ চলতে পারেনা। তার উপযুক্ত শাস্তি হতে হবে।
প্রত্যক্ষদর্শী হাছিনা আক্তার বলেন- আমি সকালে বাইরে হাটছিলাম। এমন সময় দেখি করিম ইউনুস কাকুকে মারতে মারতে মাটিতে পেলে দিয়ে সেখানেও মারছে। এরপর আমি চিৎকার করলে করিম পালিয়ে যায়। আমি না দেখলে হয়তো ওই বৃদ্ধকে সে মেরে পেলতো।
একইবাড়ির বাসিন্দা মো: আলী বলেন- ওই সন্ত্রাসী করিমের আগেও সামাজিক ভাবে অনেক বিচার করা হয়েছে। তাকে শুধরানোর সুযোগ দিলেও সে শুধরাইনি। তার জন্য পুরো এলাকা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।  তার উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।
একইবাড়ির বাসীন্দা শাহাবুদ্দিন, সেকান্দর, মুন্সি সহ একাধিক ব্যক্তি বলেন- করিম কিছুদিন পর পর বাড়িতে এসে একটা ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। এভাবে আর মেনে নেয়া যায়না। তার সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিৎ।
এদিকে অভিযুক্ত করিমের মা আনোয়ারা বেগম বলেন- করিম অনেকবার আমাকেও মেরেছে। সে আমাদের কাউকে শান্তি দিচ্ছেনা। তার জন্য আমি নিজে বাদী হয়ে মামলা করেছি। করিম এবং করিমের বউয়ের বিচার হোক সেটা আমিও চাই।
ইউনুসের স্ত্রী মোছা: মোহছেনা বলেন-  করিমের সাথে আমাদের কোন ঝামেলা নেই। এরপরেও সে আমাদের সব সময় গালাগাল করে। সে সন্ত্রাস সে ভয়ে আমরা কখনো কিছু বলিওনা। আজ আরেকটু সময় পেলে সে আমার স্বামীকে সে মেরে পেলতো। এর বিচার হতেই হবে। আমরা আইনের কাছে এর সর্বোচ্চ বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে সরেজমিনে গিয়ে জানতে চাইলে করিমকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য এ পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.আরেফিন আজিম বলেন- ‘আহত ব্যক্তির মাথায় অনেকটা অংশ গভীরভাবে কেটে গেছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। আমরা সেলাই দিতে পারিনি। তাই চমেকে রেফার্ড করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার পর প্রথমে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পরে আমি নিজে সেখানে গিয়েছি। অভিযুক্ত করিমকে পাওয়া যায়নি। পুলিশ তাকে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত করিমের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।