আমরা আতঙ্কিত। আমরা ভিতস্ত। তাদের এই কর্মকান্ডে আমরা আমরা বাকরুদ্ধ। তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে যে ভাবে আমাদের গাছপালা আর গাছের ডালপালা কাটছে তা দেখেই আমাদের শরীলের লোম শহিরিত হয়েছে এমন ভাবেই সেই দিনের ঘটে যাওয়ার ঘটনার বর্ণনা ব্যাখ্যা করছিলেন ভুক্তভোগী নুরজান আক্তার লিপি (৩৩)।
রংপুর সদর কোতয়ালী থানার এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত ১৬ নভেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ রোজ শনিবার আনুমানিক ১২:৩০ মিনিটে রংপুর সদর উপজেলার চন্দনপাট ইউনিয়নের বাবুর হাট নামক স্থানে চন্দনপাট ইউনিয়নের ঈশ্বরপুর মাঠের হাট গ্রামের মোঃ মাহবুবুল হকের মেয়ে মোছাঃ মারুফা বেগম এর হুকুমে চন্দনপাট ইউনিয়নের অযোদ্ধাপুর গ্রামের মৃত তছির উদ্দিনের পুত্র মোঃ আনিসুর রহমান(৫৫), চন্দনপাট ইউনিয়নের অযোদ্ধাপুর গ্রামের মোঃ আনিছুর রহমানের পুত্র মোঃ সোহাগ মিয়া (২০), চন্দনপাট ইউনিয়নের অযোদ্ধাপুর গ্রামের আনিসুর রহমানের সহধর্মিনী মোছাঃ হোসনে আরা(৪৫), চন্দনপাট ইউনিয়নের অযোদ্ধাপুর (মাস্তাজের মোড়) গ্রামের মৃত খপুর উদ্দিনের পুত্র মোঃ জয়নাল মিয়া সহ আরো অজ্ঞাত নামায় ২জন বিরুদ্ধে নিজের ক্রয় করা জমিতে লাগানো ইউক্লিপটাস গাছ কাটা সহ অন্যান্য গাছের ডালপালা কেটে নিয়ে যাওয়ায় রংপুর সদর কোতয়ালী থানায় এজাহার দায়ের করেছেন মোছাঃ নুরজাহান আক্তার লিপি।
এজাহার কারী মোছাঃ নুরজাহান আক্তার লিপি বলেন, দুপুর আনুমানিক ১:৪৫ মিনিটিতে আমাকে আমার এক ভাই ফোন করে জানায় যে আমার জমির গাছ পালা কেটে নিয়ে যাচ্ছে। আমি আর আমার বাবা ও ছোট ভাই সহ গিয়ে দেখি আনিসুর, আনিসুরের ছেলে সোহগ, আনিসুরে বৌ হোসনে আরা,মারুফা, জয়নাল সহ আরো বেশ কয়েজন মিলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার জমিতে থাকা ইউক্লিপটাস গাছ কাটা সহ অন্যান্য গাছের ডালপালা কেটে নিয়ে যাচ্ছে। তা দেখে আমরা আতঙ্কিত। আমরা ভিতস্ত হয়ে পড়ি। তাদের এই কর্মকান্ডে আমরা আমরা বাকরুদ্ধ হয়েগিয়েছি। আর তাদের হাতের অস্ত্র গুলো দেখে আামাদের শরীলের লোম ভয়ে শিহরিত হয়ে গেছে । তার পরে আমি আনিসুরকে গাছ কাটার কারণ জিঞ্জাসা করলেই আমাকে সহ আমার বাবা ও ভাই মারার জন্য উদ্দত হলে স্থানীয়া এসে তাদের থামিয়ে দেন।পরে আমি এই ঘটনায় থানায় গিয়ে তাদের নামে একটি এজাহার করে আসি। আমি সরকার ও পুলিশের কাছে সঠিক বিচার দাবী করছি। নুরজাহান আক্তার লিপি আরো জানান, আমাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আসামীরা বার বার হুমকি দিচ্ছে। আমি আমার স্বামী সহ পরিবারে সবাইকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি। তারা যেকোন সময় আমাদের বড় কোন ধরণের ক্ষতি করেত পারে।
এই বিষয়ে রংপুর সদর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ অলিভ মাহমুদ জানান, এই ঘটনায় মোছাঃ নুরজাহান আক্তার লিপি বাদী হয়ে পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো দুই জনের নাম উল্লেখ করে মোট সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এই মামলাটি তদন্ত করার পর সত্যতা পেয়ে মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। যার মামলা নং-০৯। আর অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে প্রক্রিয়া চলছে।