মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দু’টি- ঈদুল ফিতর আর ঈদুল আযহা।ঈদুল আজহা ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের এক বড় উৎসব। আল্লাহর নৈকট্য লাভের এই উৎসব ত্যাগের মহিমায় পরিপূর্ণ। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য মুসলমানরা জিলহজ্ব মাসের নির্দিষ্ট তিন দিন পশু কোরবানি করেন। এদিন পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে মনের নীচতা-অহংকার বর্জনেরও বার্তা ঘোষিত হয়।তারই ধারাবাহিকতায় প্রতি বছরের মতো এবারও সংযুক্ত আরব আমিরাততে বিপুল উৎসাহ, উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল আজহা পালন করলেন লাখ লাখ বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের মুসলমানরা।
আজ বুধবার (২৮ জুন) আমিরাতের সাতটি প্রদেশসহ প্রধান শহরগুলোতে সকাল ৫টা ৪৪ মিনিট থেকে ৫টা৫৩ মিনিটের মধ্যে ইদগাহে ও মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে স্থানীয় আমিরাতের নাগরিকসহ বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ প্রবাসীদের মাঝে আমিরাতে অবস্থানরত হাজার হাজার প্রবাসীরা ঈদের নামাজ আদায় করে।
নামাজ শেষে মুসলিম বিশ্বের সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। ঈদ জামাত শেষ করে নিজ নিজ স্থানে গরু, উট, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা কোরবানি দিয়েছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
তবে আমিরাতে ঈদের আমেজ বাংলাদেশের মতো পুরোপুরি না থাকলেও সবাই সাধ্যমত চেষ্টা করেন একে অন্যের সঙ্গে কুশল বিনিময়, খাওয়া-দাওয়া এবং ঘুরে বেড়াতে।
অনেকে আবার গরমের জ্বালায় এদিক-সেদিক না গিয়ে লম্বা ঘুম দেন। কেউ কেউ আবার দেশের ছেলে-মেয়ে, মা-বাবা, পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের সাথে সারাদিন কথা বলেই কাটিয়ে দেন।
আমিরাত প্রবাসী আমিন বলেন, আমিরাতে ফজরের নামাজের পরপরই
ঈদগাহ ও মসজিদে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।
নামাজে যাওয়ার সময় কেউ বলে না একটু সেমাই,পায়েস খেয়ে যাও। পূর্বাকাশে সূর্য দেখা পাওয়ার আগেই শেষ হয়ে যায় ঈদের নামাজ। এরপর নামাজ থেকে ফিরে হালকা কিছু খেয়ে আবার কর্মস্থলে ফিরে যেতে হয়, যারা ছুটি পায় এখানকার বন্ধুবান্ধব নিয়ে সামান্য ঘোরাফেরা বা একে-অপরের বাসায় গিয়ে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে ফিরে এসে আবার পরদিন ডিউটির প্রস্তুতি, এভাবেই কেটে যায় আমাদের ঈদ নামক কষ্টের দিনটি।
দুবাই প্রবাসী কামাল বলেন, ঈদের আনন্দটা কি সেটা প্রবাসী ভাইদের চাইতে আর কেউ বুঝতে পারবে না। প্রবাসীদের ঈদ মানেই দেশে পাঠানো।পরিবার পরিজন একটু সুখে শান্তিতে সময় খাটাবে এটায় প্রবাসীদের চাওয়া।