নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষা বিজ্ঞান অনুষদ কর্তৃক “ক্রিয়েটিভ টিচিং ফর ইম্প্লেমেন্টিং কম্পিটেন্সি বেইজড কারিকুলাম” বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১১ জানুয়ারি, ২০২৩) বিশ্বদ্যিালয়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজি মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সেমিনারের উদ্বোধন করেন নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম।
শিক্ষা বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুরের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল বাকী। সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক বিপ্লব মল্লিক, শিক্ষা প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক জি এম রাকিবুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক ফাতেমা বেগম পপি, সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ মো. সিয়াম এবং সহকারী অধ্যাপক নাজমুন নাহার চৈতি। এছাড়াও শিক্ষা বিজ্ঞান অনুষদেরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা সেমিনারে অংশ নেয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত এ সেমিনারের কি- নোট স্পিকার হিসেবে ছিলেন ইস্ট স্ট্রসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়, পেনিসেলভিনিয়া, ইউএসএ এর সহযোগী অধ্যাপক ড. নুরুন বেগম।
সেমিনারের শুরুতে শিক্ষা বিভাগের চেয়ারম্যান তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ‘আমাদের গ্রাজুয়েটদের যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে যাতে অধিকহারে সুযোগ পেতে পারে এবং শিক্ষা রিলেটেড বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানানোর জন্য এই সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে।’ তিনি সেমিনারে উপস্থিত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এরপর শিক্ষা বিজ্ঞান অনুষদের পক্ষ থেকে কি- নোট স্পিকার ড. নুরুন বেগমকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। ড. নুরুন বেগম তাঁর বক্তব্যে শিক্ষা বিজ্ঞান বিষয়ে উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এছাড়াও কীভাবে বিদেশে উচ্চশিক্ষায় যেতে হবে কি কি স্কিল লাগবে এসব বিষয় শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন। তিনি আরো ঘোষনা করেন, নোবিপ্রবি থেকে প্রতি বছর মাস্টার্সে অধ্যয়নরত দুই জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করবেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, “শিক্ষা বিষয়টি বর্তমানে অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। কারিকুলাম তৈরিতে ও উন্নয়নে এই বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। উন্নত বিশ্বে এই বিভাগের প্রচুর চাহিদা। উন্নত বিশ্বে ব্যবহারিক শিক্ষার উপর জোর দেওয়া হয়, অন্যদিকে আমাদের দেশে পুঁথিগত শিক্ষার উপর জোর দেওয়া হয়। শিক্ষা বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা এর উন্নয়নে কাজ করছে।” তিনি বক্তব্যের শেষে ড. নুরুন বেগমকে সাধুবাদ জানান তাঁর গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যের জন্য।
উল্লেখ্য, সহযোগী অধ্যাপক ড. নুরুন বেগম ইস্ট স্ট্রসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়, পেনিসেলভিনিয়া, ইউএসএ এর আর্লি চাইলডহুড এন্ড ইলিমেন্টারি এডুকেশন ডিপার্টমেন্টের ডিপার্টমেন্ট চেয়ার হিসেবে কর্মরত।