সকালে খেলাধুলার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন ১০ বছর বয়সী শিশু শাওন হাসান ফাহিম। দুপুর পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেনি। এতে দূরচিন্তায় পড়ে খুঁজছিল পরিবারের লোকজন। কোথাও না পেয়ে বাড়ির পাশেই পুকুর পাড়ে এক জুতা ও পুকুরের পানিতে অপর জুতা দেখে পানিতে তল্লাশি চালানো হয়। একপর্যায়ে ওই পুকুরেই শিশুর নিথর দেহ মেলে।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের মধুয়াকোনা গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। মৃত শিশু ফাহিম ওই গ্রামের আবু বক্করের ছেলে। দুই ছেলের মধ্যে ফাহিম ছিল বড়। সে স্থানীয় মধুয়াকোনা আলিয়া মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, খেলাধুলার জন্য শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয় শিশু ফাহিম। এরপর থেকেই তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কোথাও খুঁজে না পেয়ে একপর্যায়ে তারা বাড়ির পাশে পুকুরের কাছে গিয়ে দেখেন পুকুর পাড়ে ফাহিমের এক জুতা ও পানিতে এক জুতা পড়ে রয়েছে। এ সময় পুকুরে নেমে খোজাঁখোঁজি করলে পানির নিচে ফাহিমের মৃত দেহ খুঁজে পায়। পরে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজন।
মৃত শিশু ফাহিমের ফুফাতো ভাই জুয়েল মিয়া বলেন, প্রথমে পুকুর পাড়ে ফাহিমের জুতা দেখে সন্দেহ জাগে। পরে পানিতেও আরেকটি জুতা দেখতে পেয়েই পুকুরে নেমে খোঁজাখুঁজি করলে একজনের পায়ে ফাহিমের মৃত দেহ ভাঁজে।
তিনি আরও বলেন, ফাহিমের খেছুনী রোগ ছিল। ধারনা করা হচ্ছে পুকুরে যখন সে নেমেছে তখনই খেছুনী শুরু হলে পুকুরের পানিতে ডুবে যায়। ইউপি সদস্য মো. মুকছেদুল হক বলেন,ঘটনাটি খুবই হৃদয়বিদারক। শিশুর মরদেহ বাড়িতেই রয়েছে।